সংক্ষিপ্ত

শুধু পেঁয়াজ নয়, সয়াবিন তেল এবং চিনির দামও বেড়ে গেছে বাংলাদেশে। দেশি মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও তার দাম খুব-একটা কম নয়। সব দিক থেকে নিত্যদিনের খাবার-দাবারে প্রভাব পড়ায় এখন ক্ষোভে রয়েছেন বাংলাদেশি জনতা। 

পেঁয়াজের জোগানের জন্য প্রধানত ভারতের ওপরেই ভরসা করে বাংলাদেশ। বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ পাঠানোর ঘাটতি হচ্ছে, যার জেরে বাংলাদেশি আমজনতার হেঁশেলে হাঁসফাঁস! শেখ হাসিনা শাসিত দেশটিতে এখন চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।

ভারতে বর্তমানে খোলা বাজারে প্রায় ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। লোকসভা ভোটের আগে পেঁয়াজের দর আগুন হয়ে উঠলে রাজনৈতিকভাবে তা নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই পেঁয়াজ রফতানির উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নয়াদিল্লি। সেই চাপ গিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ওপরে।

-

এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন। তার আগে পেঁয়াজের দাম নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের করুণ অবস্থা। বাংলাদেশে এক ধাক্কায় পেঁয়াজের দাম প্রায় ৫০-৮০ টাকা বেড়ে গেছে। খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন কেজি প্রতি ২০০ টাকা করে। অর্থাৎ , ভারতীয় মুদ্রায় এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। অর্থাৎ, কলকাতার দ্বিগুণেরও বেশি দামে ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ! 

-

ভাঙন সামাল দিতে এখন চিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা শুরু করেছে বাংলাদেশ। চিনের পেঁয়াজ আকারে কিছুটা বড়। সেই পেঁয়াজের স্বাদ বাংলাদেশ বা ভারতের পেঁয়াজের মতো নয়। তাই, তার দাম কম হলেও, জিভে একেবারেই রুচছে না। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, প্রত্যেক টনে ৮৮০ ডলারের কমে পেঁয়াজ বিদেশে বিক্রি করা যাবে না। তবে পর, সেই নির্দেশটি সংশোধন করে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেওয়া হয়েছে রফতানিতে। 

-

তবে, শুধু পেঁয়াজ নয়, সয়াবিন তেল এবং চিনির দামও বেড়ে গেছে বাংলাদেশে। দেশি মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও তার দাম খুব-একটা কম নয়। সব দিক থেকে নিত্যদিনের খাবার-দাবারে প্রভাব পড়ায় এখন ক্ষোভে রয়েছেন বাংলাদেশি জনতা। 

-
 আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।