সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থীরা।

 

ছাত্রবিক্ষোভে রক্তাক্ত বাংলাদেশ। নিহতের সংখ্যা ১০৫। গোটা দেশেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। তারই মধ্যে কোনও রকমে সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফিরছে ভারতীয় পডুয়ারা। ত্রিপুরা, মেঘালয় আর পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভ থামাতে শুক্রবার থেকেই সেনা নামিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

বাংলাদেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থীরা। কোটা বিরোধী আন্দোলন সোমবার থেকেই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপরই গোটা দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মৃত্যু হয় ৬ জনের। হাসিনা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও তা মানতে নারাজ প্রশাসন। দাবি করা ব্যবহার করা হয়েছিল রবার বুলেট। কিন্তু তারপরেও মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। গোটা দেশেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট।

অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরছে। ইতিমধ্যেই এই পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ৪০০ পড়ুয়া দেশে ফিরেছে। প্রবল ছাত্র আন্দোলনের কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অরাজক পরিস্থিতি।

বাংলাদেশের ভারতের প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় রয়েছে। যাদের মধ্যে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫০০। দ্রুত সব পুড়ায়াদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'বাংলাগেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে পড়েছেন। তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।