সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুলিশ - প্রশাসনের অত্যাচারের বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে সন্তান হারা মায়েদের আর্ত চিৎকার।

সময় যত যাচ্ছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে (reservation movement)ততই রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বেসরকারি সূত্রের খবর পুলিশের দমনপীড়নে এখনও পর্যন্ক কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই পুড়ুয়া বা চাকরিপ্রার্থী। এই অবস্থায় সন্তানহারা মায়েদের হাহাকার গোটা দেশেই।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুলিশ - প্রশাসনের অত্যাচারের বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে সন্তান হারা মায়েদের আর্ত চিৎকার। ছেলের মরদেহের ওপর কান্নায় লুটিয়ে পড়ছে মা। অনেকেই বক্তব্য, 'তুই চাকরি দিবি না কিন্তু মারলি কেন।' যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি দমনপীড়ন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনও আলোচনা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। যদিও কোটা বিরোধী আন্দোলনের আগুন ঢাকা পার করে পার্শ্বরর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধরনের সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এবার বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রতীকী মুখ হল আবু সাইদ। পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে বেগম রোকেয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। বাঁশের লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে পড়ে বেশ কয়েকজন নাবালক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেশের প্রধান ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, 'রাজনীতির রং লাগিয়ে এই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ছোট করবেন না। '

একের পর এক মৃত্যু নিয়ে কিছুটা হলেও কোনঠাসা পুলিশ। দাবি করেছে রবার বুলেট মারণাস্ত্র নয়। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বা হাসপাতালের মর্গ সেই কথা বলছে না। কারণ মৃতদের অধিকাংশই রবার বুলেটে জখম হয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।