সংক্ষিপ্ত
দলে দলে হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন প্রাণভয়ে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হিন্দু শরণার্থীদের প্রথম দল ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে পোলিশ সংবাদ সংস্থা 'Visegrád 24'।
জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। পড়শি দেশ থেকে শরণার্থী আসছে বলে ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন ওপার বাংলা থেকে ১ কোটি শরণার্থী আসছে, আশ্রয় দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন। এই নিয়ে কথা বলতে গিয়েই সিএএ-র প্রসঙ্গও টেনেন আনেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সিএএ-তে পরিষ্কার বলা আছে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ এসে তাঁকে আশ্রয় দিতে হবে। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ৩ দিনের মধ্যে যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে ১ কোটির অধিক হিন্দু শরণার্থীকে গ্রহণ করার জন্য তৈরি থাকুন। যেখানে যার জায়গা রয়েছে, হিন্দু ভাইদের রাখার জন্য তৈরি থাকুন।
তাঁর কথাই বোধহয় এবার ফলতে চলছে। মিলে যেতে পারে এই ভবিষ্যতবাণী। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দলে দলে হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন প্রাণভয়ে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হিন্দু শরণার্থীদের প্রথম দল ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে পোলিশ সংবাদ সংস্থা 'Visegrád 24'। সংবাদ সংস্থা এক্স হ্যান্ডেলে একটা পালিয়ে আসা হিন্দুদের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, 'বাংলাদেশ থেকে প্রথম হিন্দু শরণার্থীরা উত্তর বাংলাদেশের ভারতের সীমান্তে পৌঁছে গেছে। ইসলামপন্থীদের জোর করে উচ্ছেদের কারনে হাজার হাজার হিন্দু ভারতের দিকে ছুটতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশী হিন্দুরা ১৯৭১ সাল থেকে এই ঘটনা দেখেনি।'
প্রসঙ্গত, সরকার বিরোধী আন্দোলন শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার মাধ্যমে শেষ হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হিন্দুবিরোধী দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। হিন্দু কাউন্সিলর ও সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ঠিক কত হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে বা কতজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা দাবি করা হচ্ছে তাতে খুবই ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে আসছে।
ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে,'বাংলাদেশে বহু হিন্দুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত। গণহত্যা এখনো চলছে। বাংলাদেশ এখন কমিউনিস্ট মুক্ত। অনেক হিন্দু রাত জেগে ঘরবাড়ি, মন্দির ও মহিলাদের পাহারা দিচ্ছে।' হামলা, লুপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে হিন্দু সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দের ১৪০ বছরের প্রাচীন বাড়িতে। সিলেটের শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক পীযূষ কান্তি দেবের বাড়িতে ইসলামপন্থীরা লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দু ভয়েস।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।