ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা! এবার কোন দেশে ঠাঁই মিলবে, জানেন?
- FB
- TW
- Linkdin
বাংলাদেশে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে যে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তার আকার এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠেছিল যে দাবি ওঠে শেখ হাসিনা সরকারের ইস্তফার।
অবশেষে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন হাসিনা।
আন্দোলনকারীদের দাবিতে শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী ইউনূস।
আপাতত ভারতে শেখ হাসিনা থাকলেও তাঁকে অন্য একটি দেশে পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা নিজে কোনও দেশে থাকার জন্য 'লিখিত আবেদন' করেননি। বরং তাঁর হয়ে যাবতীয় রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি দেখছে ভারত সরকার।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকের আয়োজন করেছিল উপদেষ্টা পরিষদ।
সেই বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পূর্বতন শেখ হাসিনার সরকার একটি বিশেষ আইন জারি করেছিল। ২০১৫ সালে এই আইন মেনে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার আইন জারি করা হয়, যা এদিনের বৈঠকের পর 'বৈষম্যমূলক' হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে, বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাতারের সঙ্গে ইতিমধ্যে ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাষ্ট্রক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঠিকানা হয়ে ওঠে পারস্য ও লোহিত সাগরের তীরবর্তী দেশগুলি। বলতে গেলে প্রাণ বাঁচানোর সেরা আশ্রয়স্থল হল এই সব দেশ।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার শেখ হাসিনাও কাতারমুখী হবেন। সেক্ষেত্রে কাতার-ই বা কী ভূমিকা নেবে আশ্রয়দাতা নাকি মধ্যস্থতাকারী, তা নিয়ে চরম কৌতূহল জাগছে সকলের মনে।