সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে, অর্পিত সম্পত্তি আইন (পূর্বে পাকিস্তানি শাসনকালে শত্রু সম্পত্তি আইন নামে পরিচিত) ১৯৬৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে হিন্দুদের প্রায় ২৬ লক্ষ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এতে ১২ লাখ হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে বাংলাদেশ। অভ্যুত্থানের পর মৌলবাদীদের আধিপত্যের কারণে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হিন্দু জনসংখ্যা ক্রমাগত কমছে বাংলাদেশে। ১৯৫১ সালের তুলনায় আজ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যায় হিন্দুদের অংশ ১৪ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২.৩ লাখ হিন্দু দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
বৈষম্য, জমি দখল ও হিংসার শিকার
বাংলাদেশে, অর্পিত সম্পত্তি আইন (পূর্বে পাকিস্তানি শাসনকালে শত্রু সম্পত্তি আইন নামে পরিচিত) ১৯৬৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে হিন্দুদের প্রায় ২৬ লক্ষ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এতে ১২ লাখ হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে
বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন ২০১৬-এর মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের লক্ষ্য করে ৬৬টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৪ জন আহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ৪৯টি মন্দির ধ্বংস হয়েছে৷
নব্বইয়ের দশকে হিংসা অনেক বেড়ে যায়
হিন্দুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী আন্দোলন ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে আরও বৃদ্ধি পায়। ১৯৯০ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত কাঠামো ভেঙে ফেলার পর, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় অনেক হিন্দু মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাস
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হিন্দুদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল কারণ অনেক পাকিস্তানি তাদের দেশভাগের জন্য হিন্দুদের দোষী বলে মনে করেছিল। এতে হিন্দু জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৫১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুসারে, বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। এই সংখ্যা ১৯৯১ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে নেমে আসে।
বাংলাদেশে ৮ শতাংশেরও কম হিন্দু
২০১১ সালের আদমশুমারিতে এই সংখ্যাটি মাত্র ৮.৫ শতাংশে নেমে আসে। ২০২২ সালে তা কমে আট শতাংশেরও কম হয়েছে। একই সময়ে, মুসলমানদের জনসংখ্যা ১৯৫১ সালে ৭৬ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৯১ শতাংশের বেশি হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।