সংক্ষিপ্ত
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর থেকেই সেদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বেড়ে গেছে। ৯ অগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদে হিন্দুরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিয়েছেন, "কথায় কথায় ভারত যা! দেশটা কারও বাপের না।"
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। অন্যায় ভাবে কেন তাদের ওপর এই আক্রমণ নেমে আসছে, সেই প্রশ্নের উত্তর কারোর জানা নেই। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নাম করে সংখ্যালঘু হিন্দু সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার নিন্দা জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর থেকেই সেদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বেড়ে গেছে। ৯ অগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদে হিন্দুরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিয়েছেন, "কথায় কথায় ভারত যা! দেশটা কারও বাপের না।"
এছাড়া, শেখ হাসিনার বিদেশে চলে যাওয়ার পর সরকারি হিসেবেই অন্তত ১২ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে হিংসায়। এই হামলার প্রতিবাদে হিন্দুরা শুক্রবার থেকে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভে নেমেছে। শাহবাগ চত্বরে তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য শহরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয়েছে।
নোয়াখালির টাউনহল, দিনাজপুর এবং খুলনায় ব্যাপক আন্দোলন চলছে। কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের মন্দিরের পাহারাও দিচ্ছেন ধারালো অস্ত্র হাতে। হিন্দুরা সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংসদে ১০ শতাংশ আসনে হিন্দুদের সংরক্ষণ, ধর্মীয় হিংসার দ্রুত তদন্ত ও বিচার, এবং হিন্দু মন্দিরের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ। এছাড়া, হিন্দুদের সামাজিক ও চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে, ঢাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। যেখানে ঢাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এই মিছিল করা হয়। এই মিছিলের একটাই উদ্দেশ্য যে, বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে মিছিল করেছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ মিছিল কিছুটা হলেও উগ্র মৌলবাদী থেকে শুরু করে যারা সংখ্যালঘুদের ওপর বাংলাদেশে আক্রমণ করছেন, তাদের চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।