সংক্ষিপ্ত
মহাসচিবের সুদূর লন্ডনে গিয়ে তারেকের সঙ্গে দেখা করা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছে বাংলাদেশের মানুষ। মূলত হাসিনা জমানায় গ্রেফতারি এড়াতেই তারেক সপরিবারে লন্ডনে ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এবার পুরোপুরি বিএনপি-র দায়িত্ব নিতে পারেন। তিনি লন্ডনে রয়েছেন। দেশে ফিরে পাকাপাকিভাবে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন বলেও বাংলাদেশে জোর জল্পনাা শুরু হয়েছে। শনিবার সকালেই ব্রিটেনে রওনা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি লন্ডনে দেখা করবেন তারেকের সঙ্গে। সেখানেই দলে রদবদল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালা বদলের পর মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার তারেক রহমানের স্ত্রীর জোবায়েদার আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় সাজার আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারেকের ক্ষেত্রেও একই নীতি নেওয়া হতে পরে বলে বাংলাদেশের ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা। এই পরিস্থিতিতেই মহাসচিবের সুদূর লন্ডনে গিয়ে তারেকের সঙ্গে দেখা করা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছে বাংলাদেশের মানুষ। মূলত হাসিনা জমানায় গ্রেফতারি এড়াতেই তারেক সপরিবারে লন্ডনে ছিলেন। হাসিনার পদত্যাগের পরই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় স্থহিতাগেশ নেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এই অবস্থায় তারেকের দেশে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই। এই অবস্থায় অলমগীরের লন্ডনযাত্রা সেই জল্পনাই আরও উস্কে দেয়।
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনে রয়েছেন তারেক রহমান। বর্তমানে হাসিনা জমানা শেষের পরই দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন তিনি। প্রশ্ন কবে তারেক দেশে ফিরবেন। কিন্তু এখনও এই প্রসঙ্গে তারেক বা বিএনপি কিছুই জানায়নি। মমলা প্রত্যাহার হওয়ার আগে তিনি দেশে ফিরবেন কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বাংলাদেশের একাধিক আইনজীবীর কথায় মামলা প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ তারেক দেশে ফিরলেও সংশ্লিষ্ট মামলাগুলিতে তেমুন প্রভাব পড়তে দেবে না তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যদিও লন্ডন থেকেই একাধিকবার তারেক জানিয়েছেন, তিনি একটি মানবিক রাষ্ট্র উপহার দিতে চান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।