সংক্ষিপ্ত

চট্টোগ্রামে বাংলাদেশের হিন্দুদের জমায়েত। ৮ দফা দাবিতে সরব হিন্দুরা। ভিডিও শেয়ার করেন তসলিমা নাসরিন।

 

শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশও তেমন ভাল নেই। অশান্তির বাতারণ রয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ চট্টোগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে জড়ো হয়েছিল। জমায়েত থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ৮টি দাবি পুরণ না হলে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। এই জমায়েতের উদ্যোক্তা বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চ। বাংলাদেশের গত কয়েক মাস ধরে হিন্দুদের যেসব সমাবেশ হয়েছে এটি তারমধ্যে সবথেকে বড়। হিন্দু বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাদের দাবি না মানা হলে তারা ঢাকায় মিছিল করব।

এই জমায়েতের ভিডিও শেয়ার করেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, 'সনাতন জাগরণ মঞ্চ গতকাল বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে।' দেখুন ভিডিওঃ

 

 

যদিও ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি হল-

১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলির বিচারপক্রিয়া তরান্বিত করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২। ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ ও পুনর্বাসন দিতে হবে।

৩। দ্রুত সংখ্যালঘু আইন লাঘু করতে হবে।

৪। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠন করতে হবে।

৫। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় নির্মাণ।

৬। প্রতিটি ছাত্রাবাসে প্রার্থনা কক্ষ স্থাপন।

৭।সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের আধুনিকীকরণ।

৮। দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন ছুটি বাধ্যতামূলক।

যদিও বৃহস্পতিবার বংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রী সৈয়দা রিজওয়না হাসান হিন্দু সম্প্রদায়ের দবি মেনে নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন দুর্গাপুজোর জন্য বাংলাদেশে দুই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম।

শেখ হসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছিল। হিন্দুদের মারধর করে সম্পত্তি লুঠপাট করা হচ্ছিল। পুজো প্যন্ডালেও হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুরা রীতিমত আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ মিছিলও করেছে হিন্দুরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।