সংক্ষিপ্ত

সেনাবাহিনীর মদতে বিএনপি ও জামাত সন্ত্রাসীরা খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের বাড়িঘর দখল করার পাশাপাশি মন্দির ভাঙচুর শুরু করে দিয়েছে। বাগেরহাটে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায় নামে এক হিন্দু শিক্ষককে।

সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে হিন্দু নির্যাতন যজ্ঞ শুরু হয়েছে। দলে দলে হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন প্রাণভয়ে। প্রসঙ্গত, সরকার বিরোধী আন্দোলন শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার মাধ্যমে শেষ হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হিন্দুবিরোধী দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে।

সেনাবাহিনীর মদতে বিএনপি ও জামাত সন্ত্রাসীরা খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের বাড়িঘর দখল করার পাশাপাশি মন্দির ভাঙচুর শুরু করে দিয়েছে। বাগেরহাটে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায় নামে এক হিন্দু শিক্ষককে। রেহাই পাননি তাঁর স্ত্রী (শেফালি চট্টোপাধ্যায়) ও মেয়ে ঝুমা চট্টোপাধ্যায় (৩৫)। দুজনেই বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাট, ডুমুরিয়া এবং ফুলতলাতেও একাধিক হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরে আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত ঘোষ, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ঘোষ সনৎ কুমার, প্রণব ঘোষ, বিশ্বজিৎ সাধু, শ্যামনগরের অসিম কুমার মৃধা, উৎপল মণ্ডল, মলয় মণ্ডল, আশাশুনির রাজেশ্বর দাসের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সোমবার বিকেল থেকেই দেশ জুড়ে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিশানা করে হামলা শুরু করেছে বিএনপি ও জামাত সন্ত্রাসীরা। ঢাকার শাঁখারিবাজার, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দেশ ছাড়ার নিদান দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হিন্দু মেয়েদের শ্লীলতাহানির চেষ্টাও চালানো হয়েছে। মেহেরপুরে ইসকন মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে কোনও ক্রমে প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছেন তিন আশ্রমিক। দেশ জুড়ে চলা হিন্দু নিধন যজ্ঞ নিয়ে কোনও খবর প্রকাশ না করার জন্য সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করে দিয়েছে। ফলে হিন্দুদের উপরে নির্যাতন নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।