সংক্ষিপ্ত

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি যে জনস্রোতে ভেসে যাবেন-প্রকৃতপক্ষে খুব কম মানুষই তার দ্রুতগতির এমন বিদায় সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিলেন। আর সেই খবর পেয়েছিল ভারত।

অস্থিরতা কমছে না বাংলাদেশে। রবিবার সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা বৈঠক আহ্বান করেছিলেন শেখ হাসিনা। তখনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার সময় শেষ হওয়ার বিষয়টি মানতে রাজি ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি যে জনস্রোতে ভেসে যাবেন-প্রকৃতপক্ষে খুব কম মানুষই তার দ্রুতগতির এমন বিদায় সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিলেন। আর সেই খবর পেয়েছিল ভারত।

রবিবার সকালের দিকে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। দেশের শীর্ষ তিন সামরিক প্রধান, প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক ও পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠকের পরিবেশ ছিল শান্ত। দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলায় প্রধানমন্ত্রীর ওপর কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপ বাড়ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই হিংসায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কথা শোনার পরিবর্তে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের পরামর্শেই তিনি পালিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে তার মন স্থির করেন-পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জনতা তার বাসভবনে প্রবেশ করে।

ভারত থেকে অজ্ঞাত গন্তব্যে রওনা দেন হাসিনার সহযোগীরা

কেবল রবিবারই কমপক্ষে ৯০ জনের প্রাণহানি ঘটে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। তবে ক্রমবর্ধমান হিংসায় পুলিশের অনেক সদস্যও নিহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা ‌''দুটি বিকল্প'' খোলা রাখতে চেয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি চলাকালীনও তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তবে সেনা কর্মকর্তারা তাতে রাজি হননি। সেনা কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

তবে সূত্র বলছে একদিন আগেই এই পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে পেরেছিল ভারত। একদিন আগে ওয়াশিংটন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের বলেছিল, ''শেখ হাসিনার সময় শেষ। তার সামনে আরও কোনও বিকল্প নেই।'' শেষ পর্যন্ত অনিচ্ছা স্বত্তেও পদত্যাগ পত্রে নথিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হন শেখ হাসিনা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।