সংক্ষিপ্ত
"বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে তাঁর বন্ধু ভাবে, কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ রাখতে চাই না" ভারত নিয়ে আর কী বললেন বাংলাদেশের রাষ্ট্র উপদেষ্টা?
সীমান্তে ভারতের বিএসএফরা গুলি চালিয়ে নাকি বাংলাদেশিদের মেরে ফেলছে! বারবার এমনই অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু হাসিনার পদত্যাগের পরে এবার নতুন অবস্থান নিল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, "সীমান্তে পিঠ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে বিজিবিকে। তাদের আর পিঠ দেখিয়ে থাকতে হবে না। এ ছাড়াও তিনি বলেন, পুলিশ-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা দাণবে পরিণত করেছে তাদের বিচার হবেই। দেশি ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের দাঁড় করানো হবে। প্রতিটি হত্যার পর বিজিবিকে সীমান্ত পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই।"
এ ছাড়াও তৌহিদ হোসেনভারত প্রসঙ্গে বলেন, "ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। কিন্তু সেই সময়কার কথা মানুষের মতে কতটা দাগ কেটেছিল তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। আমরা চাইব এই সম্পর্কটা শুধু দুদেশের সরকারের মধ্যে নয় বরং দুদেশের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠুক। আমরা চাই বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে তার বন্ধু ভাবে। সেই দিকেই আমরা সম্পর্কটা নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই ভারত আমাদের সহায়তা করবে। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ রাখতে চাই না।"
বাংলাদেশ পুলিশের বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন জানান, "পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। পুলিশকে যাতে আর কেউ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বলেছে এই পোশাক পরে তারা একদিনের জন্যও বের হতে চান না। পুলিশের ইউনিফর্মের ডিজাইন এবং ড্রেসের ডিজাইন দিতে বলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যদি জমা দেয়া না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ২ রকম আইনি ব্যবস্থা হবে। প্রথমটি হল নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাইয়ের দায় আর দ্বিতীয়টি হলো অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার দায়।