সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফত জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল তৈরি হয়েছে। এটির প্রভাব বাংলাদেশের ৪৫ ঘণ্টা থাকতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর কারণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও বাংলাদেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রতিবেশী ১৯টি জেলার ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেমাল-এর কারণে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের একাধিক এলাকায় ঝড়ের প্রভাব থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।
রবিবার রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ৯০ থেকে ১২০ ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সোমবার গোটা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফত জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল তৈরি হয়েছে। এটির প্রভাব বাংলাদেশের ৪৫ ঘণ্টা থাকতে পারে। এর আগে ২০০৯ সালে আয়লা ঝড় বাংলাদেশে ৩৪ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল। য়ার অর্থ বাংলাদেশে আয়লার থেকেও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে রেমাল। বাংলাদেশের রাত দেড়টা থেকে ২টোর সময়ই সবথেকে বেশি ছিল ঝ়ড়ের দাপট। সেই সময় ১১১ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছিল পটুয়াখালির খুপেপাড়ায়। ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে নোনা জলে।
বাংলাশের দেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো- জানিয়েছে ঝড়ের কারণে দেশের প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। তূবে সোমবার রাতের মধ্য মাত্র ৩ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে পেয়েছে। ব্যাহত হয়েছে মোবাইল পরিষেবা। প্রায় ১৪ হাজার মোবাইল টাওয়ারও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।