সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের। ভেঙে গেছে অতীতের রেকর্ড।

 

যতদিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক হাসপাতালে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসাধীন। মশাবাহিত রোগ রীতিমত মহামারির আকার নিতে চলেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দফতর আরও বলেছেন ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও মনে করছে বাংলাদেশ প্রশাসন।

জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূল আর স্বস্তিক চিহ্ন? ASIকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ বারাণসী কোর্টের

বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৫৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৮৯২ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৮৬৫ জন। বাংলাদেশ প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ হাজারের বেশি। শুধুমাত্র ঢাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়েছে ৫৪ হাজারের বেশি। ডেঙ্গু সবথেকে মারাত্মক আকার নিয়েছে ঢাকায় । তবে দেশের বাকি অংশগুলিতেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ! বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে প্রবেশ করলেই রক্ত পরীক্ষায় সম্মতি দিল ঢাকা

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বা়ড়ছে তা হাসপাতালগুলির রেজিস্ট্রার দেখলেই বোঝা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঢাকাতেই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ৬৯ জন।

এর আগেও ডেঙ্গে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। ২০১৯ সালে মৃতের সংখ্যা ছিব ১৭৯ জন। ২০২০ সালে মাত্র ৭ জন মারা গিয়েছিল। ২০২১ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৫ জন। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছ্ল ২৮১ জনের। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

১৫ অগস্ট ভারতের সঙ্গে বিশ্বের আরও পাঁচটি দেশ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে, জানুন দেশগুলির নাম

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর সেদেশের ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৬৩.৫ শতাংশ হলেন পুরুষ। এদিকে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। এদিকে আক্রান্ত রোগীর অর্ধেকই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এদিকে এতকিছুর পরও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ডেঙ্গু পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি। তাঁর কথায়, সতর্ক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এদিকে প্রচুর সংখ্যক শিশুও এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে সেদেশে। এই আবহে স্কুলগুলিতে মশা নিধনের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন বাংলাদেশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।