সংক্ষিপ্ত
কিছুদিন আগে 'অমর একুশে বইমেলা'-এ জান্নাতুন নাঈম প্রীতির লেখা বই জন্ম ও যোনির ইতিহাস নিষিদ্ধ করা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বাংলাদেশ।
অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে ফিরল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। তবে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া রবি ঠাকুরের মূর্তির সেই অবয়ব আর নেই। সরেছে হাতের পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলী। উধাও মুখে বসানো কালো টেপও। একেবারে নব রূপে ফিরলেন রবীন্দ্রনাথ। শুক্রবার বিকেলেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুণরায় স্থাপন করা হয়েছে রবি ঠাকুরের মূর্তিটি। রবীন্দ্রনাথের মূর্তির অবয়ব বদলালেও থামেনি প্রতিবাদ। মূর্তি পাশেই লাল-সাদা ব্যানারে জ্বলজ্বলে অক্ষরে লেখা,'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সকল ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর।' তার সঙ্গে লাল কালিতে লেখা রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন,'তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলে থাকি।' এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বুদ্ধিজীবী মহলে।
কিছুদিন আগে 'অমর একুশে বইমেলা'-এ জান্নাতুন নাঈম প্রীতির লেখা বই জন্ম ও যোনির ইতিহাস নিষিদ্ধ করা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বাংলাদেশ। পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালেই পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকির ছবি 'শনিবার বিকেল'কেও মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই দুই ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পড়ুয়ারা বেছে নেন রবীন্দ্রনাথকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি মুর্তি স্থাপন করা হয়। সেই মূর্তির হাতে পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলী এবং মুখে কালো টেপ।
মুক্ত কণ্ঠ রোধ করার প্রতিক হিসেবেই এই মূর্তি বলে দাবি পড়ূয়াদের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় বাংলাদেশ জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয় রাতের অন্ধকারে মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এই মূর্তি স্থাপনের কোনও অনুমতি দেয়নি। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে উধাও হয়ে যায় মূর্তিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই ভাস্কর্য তৈরি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে বলেও জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন -
ফের বাংলাদেশের মন্দিরে ভাঙচুর, নষ্ট করা হয়েছে প্রায় ১৪টি মন্দিরের একাধিক বিগ্রহ
বাংলাদেশে এক ধাক্কায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, কতয় মিলছে এলপিজি? জানুন