বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল ভিডিওতে মারধর, গণধর্ষণের চেষ্টা এবং বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে। এক ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

ফের খবরে বাংলাদেশ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সেখানে। শঙ্কটে সংখ্যালঘুরা। কোথাও বাড়ি গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তো কোথাও হিন্দু গণধোলাইয়ের শিকার হচ্ছে। প্রকাশ্যে আসছে হাড় হিম করা ভিডিও।

প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলার করুন আর্ত চিৎকার। ভিডিওতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি খুব খারাপ। মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ভিডিওটি চট্টোগ্রামের কোওয়ালির।

দ্বিতীয় ভিডিও এক হিন্দু ব্যক্তিকে গণধোলাই এবং তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে। ঘটনার বিবরণে লেখা, এই ভিডিওটি ঠাকুরগাঁও এলাকার। যেখানে মুসলমানদের একটি দল হিন্দুদের নির্মমভাবে মারধর করছে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইউনূসের ইসলামপন্থীরা হিন্দুদের হত্যা করছে।

Scroll to load tweet…

তেমনই ভাইরাল হয়েছে আরও একটি পোস্ট। যেখানে নিরুপায় হয়ে এক ব্যক্তি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমি একজন বাংলাদেশী হিন্দু। বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরা গণহত্যার সম্মুখীন হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বাড়িতে লুকিয়ে আছে এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নেতা মবম্মদ ইউনূস হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। মন্দির ও গীর্জা হামলার শিকার হচ্ছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। অনেক হিন্দু মব লিঞ্চিংয়ের শিকার হয়েছে। এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নিরীহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণকে নিছক অধিকার দাবি করায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা, আপনার সাহায্য চাই। আমরা বংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সাহায্য করুন। ’’