বাংলাদেশে ময়মনসিংহের ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে বাজেন্দ্র বিশ্বাস নামে এক হিন্দু আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সহকর্মীর গুলিতে বাজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আরটিভি অনলাইন জানিয়েছে।
"হ্যাঁ, ঘটনাটি নিশ্চিত", বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনীন্দ্র নাথ ফোনে এএনআই-কে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে হিন্দু খুন!
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "ঘটনাটি সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মেহেরাবাড়ি এলাকার সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় ঘটে।" এতে আরও বলা হয়, "নিহত আনসার সদস্য বাজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের পবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।"
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় মোট ২০ জন আনসার সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বাজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসেছিলেন। সেই সময় নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগান থেকে একটি গুলি বের হয়ে বাজেন্দ্র দাসের বাম উরুতে গুরুতর আঘাত করে।" পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরটিভি অনলাইন জানিয়েছে, "ঘটনাটি নিশ্চিত করে লাবিব গ্রুপের ডিউটিরত আনসার সদস্য এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এপিসি মোহম্মদ আজাহার আলি বলেন, ঘটনার সময় নোমান মিয়া ও বাজেন্দ্র দাস তার ঘরে একসঙ্গে বসেছিলেন। হঠাৎ নোমান মিয়া বাজেন্দ্র দাসের উরুতে শটগান ঠেকিয়ে বলেন, 'গুলি করব নাকি?' বলেই গুলি চালান। এরপর নোমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি আরও জানান, ঘটনার আগে তাদের মধ্যে কোনো তর্ক বা বিবাদ দেখেননি।"
এতে বলা হয়েছে, "মঙ্গলবার ভোররাত ১টার দিকে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাৎক্ষণিক অভিযানে অভিযুক্ত নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার আসল কারণ জানতে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।"


