সংক্ষিপ্ত

চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দিরে হামলা। ইসকনের একজন প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্লোগান দিতে দিতে জনতা মন্দিরে ভাঙচুর চালায়।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে শুক্রবার স্লোগান দিতে দিতে জনতা তিনটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। ইসকনের প্রাক্তন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের পর থেকে এখানে প্রতিবাদ এবং হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে।

চট্টগ্রামের হরিশ চন্দ্র মুন্সেফ লেনে শুক্রবার দুপুর প্রায় ২:৩০ মিনিটে জনতা শান্তিনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং শান্তিনেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরে হামলা চালায়। BDNews24.com এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্লোগান দিতে দিতে শত শত মানুষ মন্দিরে ইট-পাথর ছুড়ে মারে। এর ফলে শনি মন্দির এবং অন্য দুটি মন্দিরের দরজা ভেঙে যায়।

কোতোয়ালি থানার প্রধান আব্দুল করিম হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, মন্দিরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর মন্দিরগুলি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই দলই একে অপরের দিকে ইট-পাথর ছুড়ে মারে।

জুমার নামাজের পর মন্দিরের সামনে জড়ো হয় জনতা

শান্তিনেশ্বরী মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য তপন দাস বলেন, "জুমার নামাজের পর শত শত মানুষের মিছিল আসে। তারা হিন্দু বিরোধী এবং ইসকন বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। আমরা হামলাকারীদের থামাইনি। যখন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় তখন আমরা সেনাবাহিনীকে ডাকি। সেনাবাহিনী দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুরের আগেই মন্দিরের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দুর্বৃত্তরা কোনো উস্কানি ছাড়াই এসে হামলা চালায়।"

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

ইসকনের প্রাক্তন সদস্য এবং হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। এরপর ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিবাদ জানান।

৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশের সময় নিউ মার্কেট এলাকায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।