শেখ হাসিনা তাঁর নতুন অডিও বার্তায় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতীকালীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি ইউনূসের আমলে জঙ্গিদের মুক্তি, মুক্তচিন্তার পরিধি হ্রাস, নারী ও যুব সমাজের অধিকার খর্ব এবং আইনজীবীদের গ্রেফতারের ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন।
ফের দেশবাসীর উদ্দেশে অডিও বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতিকালীন সরকারের বিরুদ্ধেও সরাসরি আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সদ্য দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তা দিয়েছিলেন হাসিনা।
আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, যা আছে, তা নিয়েই এখন পথে নেমে পড়ুন। ঘরে বসে থাকার সময় নেই। তিন দিনের মাথায় ফের অডিও বার্তা দিলেন। হাসিনা বলেন, ইউনূসের ক্ষমচা দখল হয়েছিল জঙ্গিদের সহায়তায়। আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ যে সব জঙ্গি সংগঠনের অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে তাদের সকলকে ছেড়ে দিয়েছে ওরা।
হাসিনা দাবি করেছেন, ইউনূসের আমলে এত সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তা, স্বাধীন ভাবে কথা বলা, স্বাধীন ভাবে চলাফেরার পরিসর কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নারীদের অধিকার, যুব সমাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
হাসিনার কথায়, এখ দিনে ৯৩ জন আইনজীবী গ্রেফতার, এটা শেষ বার স্বাধীন বাংলাদেশে কবে ঘটেছে? ঘঠেছে ইউনূসের আমলে। অথচ তিনি দাবি করেন, সবাই তাঁর সমালোচনা করতে পারেন, নির্ভয়ে কথা বলতে পারেন। কিন্তু, এখন কেউ সমালোচনা করতে গেলেই জঙ্গিবাহিনী গিয়ে তাকে মারধর করে, নির্যাতন করে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এই বিএনপি, জামাত আমাদের ওপরে যে অত্যাচার করল, সেই অত্যাচার যদি ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা করতাম, তা হলে ওদের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেত না। আর আজ এদের হাতে আওয়ামি লীগের অগণিত নেতাকর্মী ও তাদের আত্মীয় পরিজনদের হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ৩২ নম্বরে ওরা যখন আগুন দেয়, সেখানেও মিরপর রোডের ওপর তিনটি লাশ পড় থাকতে দেখা গিয়েছিল। তাদের নাম পরিচয়টুকুও জানা যায়মি। নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতন করে একটা পার্টিকে শেষ করতে চাইছে ওরা।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছল আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আজ এরা সব ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করল, আজ তাদের গলায় জুতোর মালা। ধৈর্য ধরুন, দিন ফিরবে। এক মাঘে শীত যায়না। সব অপমান মনে থাকবে। কড়ায় গণ্ডায় হিসেব বুঝে নেব। সব কিছুর হিসাব নেওয়া হবে। সে দিন বেশি দূর নয়।
ইউনূসকে নিশানা করে তিনি বলেন, এ সব ইউনূসের কারসাজি। হাজার হাজার কোটি টাকা কমিয়ে, বিদেশিদের থেকে টাকা খেয়ে দেশের সর্বনাশ করছেন। যার মধ্যে দেশপ্রেম থাকে, যার মধ্যে মানুষের প্রতি প্রেম, দয়া, ভালবাসা থাকে, সে কি কখনও এটা করতে পারে? ওঁর এ দেশের মানুষের জন্য কোনও দরদ নেই।


