সংক্ষিপ্ত

রিপোর্ট বলছে ১৯০১ সালে বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ। যদিও তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্রমেই কমে এসেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংখ্যা।

বাংলাদেশে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই হিন্দুরা। মন্দির ভাঙচুর থেকে নির্যাতন এমন অনেক ঘটনাই ঘটে সেখানে। এইসব কারণে বহু মানুষ তো ভারতেও চলে এসেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে সেখানে গত কয়েক বছরে কমেছে হিন্দুদের সংখ্যা। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার কথা বললে ২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী তা ছিল ৯০ শতাংশ। যা এবছর বেড়ে হয়েছে ৯১.০৪ শতাংশ। এখন প্রশ্ন আসবে দিন দিন কেন কমছে বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা? জবাবে যা উঠে আসছে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়।

এখন বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কত?

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ রিপোর্ট বলছে ১৯০১ সালে বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ। যদিও তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্রমেই কমে এসেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংখ্যা। ২০১১ সালের রিপোর্ট বলছে, সেই সময়ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সংখ্যা ছিল ১.১৮ কোটি। শতাংশের হিসাব করলে তা ছিল ৮.৫৪ শতাংশ। আর দিন দিন সেটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৫ শতাংশ।

বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের মত নয়। স্বাধীনতার পর পড়শিদেশে যতজন হিন্দু ছিল এখন সেই সংখ্যা নাকি অনেকটাই কমে এসেছে। সেই সাথে কমেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনও। উল্টে দিন দিন বেড়েই চলেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা।

বাংলাদেশ বিউরো বলছে, দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৩.৫০ শতাংশ। তবে তা ক্রমশ কমতে কমতে এখন ঠেকেছে ৭.৯৫ শতাংশে। একই সাথে কমেছে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদির সংখ্যাও। এমনকি গতবছরের তুলনায় এবছরও হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে আরও প্রায় ১ শতাংশ। তবে দেশটির সংখ্যাগুরু জনসংখ্যায় কিন্তু কোনও কমতি দেখা যায়নি। উল্টে তা ক্রমেই বেড়ে গেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।