Bangladesh বাংলাদেশে মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে, যখন ইউনূস ২০২৬ সালের জুনের আগে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছেন।
ফের খবরে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনাকারী মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বুধবার হাজার হাজার মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমেছিল। তাদের মুখে শুধু ছিল ফ্যাসিবাদ বন্ঘ করো- এই স্লোগান। ওই আন্দোলনটি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল BNP-র সদস্যরা পরিচালনা করেছিলেন। যেখানে সামিল হন সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ।
বাংলাদেশের রাজধানীর সমস্ত প্রধান সড়ক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির দলের সমাবেশে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। দাবি করা হয়, এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন সম্পন্ন করার।
এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মোহাম্মদ ইউনূস। বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করা কঠিন হবে বলে জানান তিনি। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে। BNP-সহ একাধিক দল বলছে যে নির্বাচন তার আগে হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানেরও অভিমত এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানেরও মত এবছরে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত।
এই জটিলতার মাঝে এটা স্পষ্ট যে মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সপকার যদি শীঘ্রই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে বাংলাদেশে রাজনৈতির অস্থিরতা আরও চমরে উঠবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতীকালীন সরকার পরিচালনা করছেন। অর্থনৈতিক তত্ত্বের জন্য নোবেন পুরষ্কার পেয়েছিলেন তিনি। তবে, তাঁকে যে এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় ব্যর্থ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপি প্রধান তারিক রহমান। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়। এই নির্বাচন বছরের শেষের দিকে সম্পন্ন হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। এদিকে, মোহাম্মদ ইউনূস বহুবার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি, সমাবেশ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পচল ধরেছে।
এই সরকার শেষ হাসিনার সরকারের চেয়েও খারাপ। শুধু তাই নয়, এটাও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলদেশের পরিস্থিতি শেখ হাসিন সরকারের চেয়েও খারাপ।


