সংক্ষিপ্ত
- ধরন বদলাচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস
- আরেকটি বিপদের কথা সামনে এল
- করোনা মানুষের মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলছে
- সুস্থ হওয়ার পরও থাকছে বিপদের আশঙ্কা
করোনাভাইরাস নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। এবার এই মারণ ভাইরাস নিয়ে আরেকটি বিপদের কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ফলে মানুষের মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। যার কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি স্ট্রোক, স্নায়ুর ক্ষতি, মানসিক বিকার, প্রলাপ, বিভ্রম, ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা-সহ মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার 'জার্নাল ব্রেন' নামক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের এই নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। তারা দেখাচ্ছেন, শুধুমাত্র ব্রিটেনেই ৪০-এর বেশি করোনা রোগীর নানা ধরনের স্নায়বিক সমস্যা হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর। এদের মধ্যে কেউ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, কারো স্নায়ুতে স্থায়ী ক্ষত হয়েছে।
এই গবেষকদের অন্যতম মাইকেল ঝান্ডি বলছেন, 'আমরা কোভিডকে নতুন রূপে দেখতে পাচ্ছি। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী দ্রুত অ্যাকিউট ডিসেমিনেটেড এনসেফালোমেলিটিসের (আডেম) শিকার হচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহেই দু'তিনজন আডেম আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।'
সম্প্রতি ৪৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনের ব্রেনে প্রদাহজনিত সমস্যা ছিল। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হলে একিউট ডিসামিনেটেড এনসেফেলোমেলাইটিস নামের নতুন রোগের উদ্ভব হয়। যেটা খুবই বিরল এবং শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এই গাছের তৈরি অলঙ্কার পরলেই রোধ করা যাবে মারণ করোনাকে, চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কৃষিমন্ত্রী
এই প্রসঙ্গে গবেষক মাইকেল ঝান্ডি বলেন, ‘আমরা যেভাবেই দেখি, একটা মহামারি মানুষের মস্তিষ্কে বড় আকারের আঘাত হেনেছে। যেমনটা ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ১৯২০ ও ৩০ সালে এনসেফালাইটিস ল্যাথারজিক এনেছিল।’
গবেষকদের কথায়, করোনা রোগীরা এতই বিপজ্জনক ভাবে হাসপাতালে আসছেন, যে চিকিৎসকরা চেনা উপসর্গগুলোর বাইরে অন্য দিকে নজরই দিতে পারছেন না। সেই ফাঁকেই মস্তিষ্কে থাবা বসাচ্ছে করোনা। এক্ষেত্রে বিশেষত মৃদু উপসর্গযুক্ত কিংবা সুস্থ হওয়ার পথে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেই ভাইরাসটি নীরবে গুরুতর প্রভাব তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।