সংক্ষিপ্ত
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সপ্তাহ জুড়ে গ্রাউন্ডিং বন্ধ করার পরে সারা রাত অপারেশন স্থগিত করা হবে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কার্গো টার্মিনালের ছাদ ধসে পড়েছে।
তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল এখন বরফ মোড়া। সাদা ধু ধু করছে বিমানবন্দর (Istanbul Airport)। রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানে জমেছে পুরু বরফের স্তর। ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরটিকে (Europe's busiest airport) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্তানবুল সরকার। শহর জুড়ে চলছে তুষার ঝড় (Snow Storm)। ফলে বিমান চলাচলে এসেছে বড়সড় বাধা। ২০১৯ সালে তুর্কি এয়ারলাইন্সের নতুন হাব হিসাবে আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর তুষারঝড় প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সপ্তাহ জুড়ে গ্রাউন্ডিং বন্ধ করার পরে সারা রাত অপারেশন স্থগিত করা হবে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কার্গো টার্মিনালের ছাদ ধসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। উপায় না পেয়ে অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির যাবতীয় কাজ। সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপ ও এশিয়া যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এবার প্রথম বন্ধ রাখতে হচ্ছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীরা। ভয়াবহ তুষারপাতে বিধ্বস্ত তুরস্কের বৃহত্তম শহর। পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট। রাস্তা, হাইওয়ে, পার্কিং-লট সব সাদা হয়ে গেছে বরফ জমে। শহরের এক কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দা প্রথমে তুষারপাতকে ভালোভাবে নিলেও এখন চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন। এছাড়া, ভারী তুষারপাতের কারণে ট্রাফিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাইওয়েগুলো এখন পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, গ্রিসে মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কারণে পার্লামেন্ট অধিবেশন বাতিল এবং স্কুল ও টিকাদান কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর আশেপাশে শতশত মোটর আরোহী তাদের গাড়িতেই আটকা পড়েছেন। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রবল তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী এথেন্স। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এথেন্সের ন্যাশনাল অবজারভেটরির রিসার্চ ডিরেক্টর কোস্টাস লাগোয়ার্ডোস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ১৯৬৮ সালের পর থেকে এ ধরনের শীত দেখেনি রাজধানীর মানুষ।
তবে সোমবার বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করার পরে ফ্লাইটে আটকে থাকা যাত্রীদের দ্রুত রাতের মধ্যে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ইস্তাম্বুলের আইকনিক "সিমিট" ব্যাগেল দোকানগুলিও পুরোপুরি খালি ছিল। গোটা শহর কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। গভর্নরের কার্যালয় থেকে হাইওয়ের ওপর রেখে দেওয়া গাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারী সত্ত্বেও ইস্তানবুল বিমানবন্দর গত বছর ৩৭ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীদের পরিষেবা দিয়েছে।