সংক্ষিপ্ত

সমাজে মহিলাদের খুব বড় ভূমিকা হবে, এমনটাই বলেছে তালিবানরা। কিন্তু, মহিলা রাজনীতিবিদরা কি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন?

এখন সব নয়ার যুগ এসেছে। নরেন্দ্র মোদী বলেন নয়া ভারত গড়ার কথা। ইমরান খানের মুখে শোনা যায় 'নয়া পাকিস্তান'। তেমন ২০ বছর পর আফগানিস্তানের শাসনের মূল স্রোতে ফিরে এসে তালিবানরাও নিজেদের বলছে নয়া তালিবান বা তালিবান ২.০। মঙ্গলবারই কাবুল দখল করার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তালিবানি নেতৃত্ব। সেখানে তারা বলেছে, ইসলামি আই মেনে নারীরাও বাড়ির বাইরে কাজ করার অধিকার পাবেন। আগের মতো চরমপন্থী আইন তারা লাগু করবে না। কিন্তু তালিবানি শাসনে ঠিক কতদূর স্বাধীনতা পাবেন তারা? ধরা যাক, ভারতের ক্ষমতায় যদি থাকত তালিবানরা, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন? মহিলাদের রাজনীতি করা নিয়ে কী মনোভাব তালিবানদের? 

সম্প্রতি আফগানিস্তানে এক মহিলা বিদেশী সাংবাদিকের সঙ্গে তালিবান যোদ্ধাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে, ওই সাংবাদিক তালিবান যোদ্ধাদের প্রথমে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তালিবানি শাসন আফগানিস্তানে নারীর অধিকারকে সম্মান করবে কি? তালিবানিরা ধরন্ধর রাজনীতিবিজদের মতোই জানিয়েছিল, ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী নারীর অধিকার সমুন্নত থাকবে।

এরপর ওই মহিলা সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, তাহলে কি আফগান জনগণকে মহিলা রাজনীতিবিদদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের জবাবই দিতে পারেননি তালিবান যোদ্ধারা। বিষয়টি তাদের কাছে এতটাই অবাস্তব যে রীতিমতো হাসিতে গড়িয়ে পড়ে তারা। আর চিত্র সাংবাদিককে নির্দেশ দেয় ক্যামেরা বন্ধ করার। অফ ক্যামেরা এক তালিবান যোদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন তাদের হাসতে বাধ্য করেছে।

২৬ বছরের হয়েছিলেন মেয়র, এখন খুন হওয়ার অপেক্ষায় - ছবিতে ছবিতে চিনে নিন দুর্ধর্ষ আফগান যুবতীকে

আপও পড়ুন - কাবুলে ঢুকে পড়ল জইশ-লস্কর-আইএস জঙ্গিরাও, তালিবানদের সঙ্গে হতে পারে মুখোমুখি সংঘর্ষ

আরও পড়ুন - Viral video - খেলনা গাড়ি, জিম থেকে অফিসেই নাচগান, জয়ের আনন্দে যেন শিশু হল তালিবান, দেখুন

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেই তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে নারীর অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তালিবানরা যতই মুখে বলুক, ইসলামি কাঠামোর মধ্যেই সমাজে খুব সক্রিয় ভূমিকা নেবে মহিলারা, তাদের আশ্বাস আফগান মহিলা ও মেয়েদের আশঙ্কা দূর করতে ব্যর্থ। আফগানিস্তানে মহিলা রাজনীতিবিদ নেই, তা নয়। ২৯ বছর বয়সী আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা মেয়র জারিফা গাফারিই আছেন। কিন্তু, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আপাতত তিনি তালেবানরা কখন এসে তাঁকে হত্যা করবে, তার জন্য  অপেক্ষা করছেন।

YouTube video player