সংক্ষিপ্ত

  • বেজিংয়ে  নতুন করে করোনা সংক্রমণ 
  • চিনে দ্বিতীয় ওয়েভের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
  • সি-ফুড ও মাংসের বাজারেই করোনার উৎপত্তি
  • এবার স্যামন মাছ থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা

গতবছর ডিসেম্বর চিনের উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। সেখানকার একটি মাংস ও সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞই। এবার গত কয়েকদিন হল রাজধানী বেজিংয়ে নতুন করে করোনা প্রাদুর্ভাবের খব পাওয়া যাচ্ছে। এবার বেজিংয়ের  জিনফাদি বাজার থেকেই দেশে দ্বিতীয়বার করোনা ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত চিনা প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সংক্রমণের উৎস সেখানকার সিফুড আর মাংসের বাজার। তাদের ধারণা, কম তাপমাত্রা আর অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণেই বাজারের ওই অংশে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস।

পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজার, মোট সংক্রমণ ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ছাড়াল

বিধিনিষেধ উঠতেই ফের বিপত্তি, আর করোনামুক্ত নয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড

জুলাই মাসের শেষেই পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ১২ লক্ষে, আশঙ্কা প্রকাশ খোদ ইমরানের মন্ত্রীরই

গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই রাজধানী বেজিংয়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসছে। যা দেখে রীতিমত উদ্বিগ্ন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন করোনা মহামারী দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে চিনে। এই অবস্থায় বেজিংয়ের  জিনফাদি বাজারের দিকেই আঙুল তুলছেন অনেকে।  ১৬০টি ফুটবল মাঠের সমান এই বাজারে ইতিমধ্যে  নতুন করে ১০০জনের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।

ইতিমধ্যে সিল করা হয়েছে জিনফাদি বাজার এবং সংলগ্ন বহু আবাসন। আগেভাগে সতর্ক হতে বন্ধ করা হয়েছে স্কুল। মোট আক্রান্তদের বেশিরভাগই কাজ করেন জিনফাদি বাজারে। নয়তো সেখানে কেনাকাটা করতে গেছিলেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আক্রান্তই কাজ করেন বাজারের সিফুড বিভাগে। তার পরেই রয়েছে বিফ এবং মাটনের বাজার। সেখানেও কাজ করেন আক্রান্তদের আরও একটা বড় অংশ। সিফুড বিভাগে কর্মরতদের মধ্যেই সংক্রমণের লক্ষণ সবার আগে দেখা যায়। এমনটাই জানিয়েছেন চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গবেষক উ জুনইউ।

গবেষক জুনইউয়ের কথায়, বাজারে যেখানে সিফুড আর মাংস বিক্রি হয়, সেখানে তাপমাত্রা কম থাকে। আর্দ্রতাও বেশি। করোনা ভাইরাসের বেঁচে থাকা, বংশবিস্তারের জন্য এই পরিবেশ আদর্শ। তবে এই নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে সেকথাও বলেছেন জুনইউ। 

এদিকে স্যামন মাছ থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেও দ্বিতীয়বার ভাইরাসের হানায় নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে চিনে। তারপরেই চলতি সপ্তাহে চিন ইউরোপিয় সংস্থাগুলো থেকে স্যামন আমদানি বন্ধ করেছে। স্বাস্থ্যবিভাগ কাঁচা স্যামন খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমদানি করা স্যামন কাটার জন্য ব্যবহৃত চপিং বোর্ডে করোনা ভাইরাস মেলে। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় চিনের স্বাস্থ্য দফতর। বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।