সংক্ষিপ্ত
সোমবার সকলের অলক্ষ্যে কাবুলে এসেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। দীর্ঘ বৈঠক করেন তালিবান নেতার সঙ্গেও।
তালিবান সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদরের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান উইলিয়াম বার্নস। সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সেই বৈঠক হয়েছিল বলে জানিয়ে বিশ্বের প্রথম সারির সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট।
সংবাদম মাধ্যম মার্কিন এক কর্তকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে তালিবানরা আফগানিস্তানের সিংহভাগ দখল নেওয়ার পরে এটাই প্রথম মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক মার্কিন কর্তা জানিয়েছেন সিআইএ-র প্রধানের যে কোনও সফরেই গোপনীয়তা বাজায় রাখা হয়। সোমবারে কী নিয়ে বৈঠক হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানায়নি ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে বলা হয়েছে সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনের হয় আরও একটু বেশি সময় চাওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তালিবানদের লুঠকরা অস্ত্রই পাকিস্তানের ভরসা, আমেরিকান অস্ত্র হাতে পেতে পারে ভারতের জঙ্গিরা
মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারা মন্তব্যের জের, আদালতে গিয়েও শেষরক্ষা হল না, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকেই সাধারণ আফগানদের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালানোর ধুম পড়ে গেছে। যেসব আফগান নাগরিকদের মার্কিন সেনা বাহিনীকে সাহায্য করেছিল তাদের জরুরি ভিত্তিতে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কাবুল বিমান বন্দরের বাইরের অবস্থা অত্যন্ত জটিল। এখনও পর্যন্ত কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন সেনা বাহিনী। কিন্তু বাইরে তালিবানি-রাজ কায়েম হয়েছে। এই অবস্থায় আরও আফগানিস্তানে থেকে সেনা সরাতে আরও বেশি সময় চাওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
Viral Video: ফুচকা খাবার আগে সাবধান, আপনার ফুচকার টকজলে নেইতো বিক্রেতার প্রস্রাব
যদিও তালিবানসূত্রে বলা হয়েছে ৩১ অগাস্টের পর আর সময় দেওয়া হবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনের সেনা বাহিনীকে। তার আগেই আফগানিস্তান খালি করতে হবেয ৩১ আগাস্ট চরম সময়সীমা বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর ন্যাচো বাহিনী মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়েছে তালিবান সুহেল শাহীন।
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগে চলতি বছর বার্নস কোনও রকম ঘোষণা ছাড়াই আফগানিস্তান সফর করেছিলেন। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার প্রধান তিনি। বাইডেনের অত্যন্ত ভরসার কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে হোয়াইট হাউসে পরিচিত।সেই সময় আফগান বাহিনীর প্রশিক্ষণের বিষয় নজরদারী চালাতেই এসেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তিনি চেয়েছেন ন্যাটো বাহিনী সরে যাওয়ার পরেও আফগান বাহিনী যেন নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে। কিন্তু তালিবানরা কাবুল দখলের পর বাইডেন জানিয়েছেন আফগানই আর তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাইছে না।