সংক্ষিপ্ত

চিনের সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে রবিবার সাংসহাইকে আক্রান্ত হয়েছে ৩হাজার ৫০০ জন। যার মধ্যে ৩ হজার ৪০০ জনই উপসর্গ বিবীন। সাংহাইয়ে আক্রান্তের হার গোটা দেশের ৭০ শতাংশ। 

নতুন করে কি চিন (China) থেকে  আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ? চিনের আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাংহাইের (Shanghai ) কোভিড-১৯ (Covid -19) এর সংক্রমণ সেই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে। তার রবিবার এই শহরে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার মানুষ। যারমধ্যে ৩ হাজার ৪০০ জনই উপসর্গবিহীন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চিনে জোরদার করা হয়েছে পরীক্ষা। সেই সময়ই ধরা পড়েছে এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা। তাতে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ করোনা আক্রান্তই উপসর্গবিহীন। 


চিনের সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে রবিবার সাংসহাইকে আক্রান্ত হয়েছে ৩হাজার ৫০০ জন। যার মধ্যে ৩ হজার ৪০০ জনই উপসর্গ বিবীন। সাংহাইয়ে আক্রান্তের হার গোটা দেশের ৭০ শতাংশ। সোমবার নতুন করে প্রায় ৫০ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া হেছে।  সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সাংহাই সরকার। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

চলতি মাসে চিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫৬ হাজারের বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি জিলিন প্রদেশে। 

সোমবার চিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ উ উফান বলেছেন, সাংহাইয়ের সর্বশেষ শহরব্যাপী কোভিড-১৯ পরীক্ষা বেড়েছে। তাতেই সামনে আসছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা দ্রুত নির্মূল করা অত্যান্ত জরুরি। তা না হলেই নতুন করে বিপদ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। 


সাংহাই সরকার জানিয়েছে, ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে, মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করতেই ২৬ মিলিয়নের দেশ সাংহাইয়ে নতুন করে লকডাউন ডাকা হয়েছে। প্রশাসনের একটাই লক্ষ্য যতদ্রুত সম্ভব রাজ্যকে কোভিড শূন্য করা। আর সেই কারণেই দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, সাংহাই ছেড়ে যাওয়াদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা করাতে হবে। লকডাউনের কারণে আপাপ স্তব্ধ সাংহাইয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কলকারখানাগুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র চালু রয়েছে জরুরি পরিষেবা।  লকডাউনের কারণে শহর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহণ ব্যবস্থাও। 

চলতি মাস থেকেই চিনে করোনাভআইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু শহর বাএলাকায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। বাড়নো হয়েছে টেস্টিং,ট্র্যাকিং আর নজরদারি। গত সপ্তহে রাজধানী বেডিংএক বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। 

ড্রোন আর ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে তেলের ডিপোতে হামলা, সৌদির ভিডিও নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া

রাশিয়ার সামরিক কৌশল পরিবর্তন, পোল্যান্ডে প্রথম ইউক্রেনীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক বাইডেনের

সংসদে সরব সৌমিত্র খাঁ, বীরভূম থেকে বিধানসভা ইস্যু তুলে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি বিজেপির