সংক্ষিপ্ত
- ভারতের মত বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
- ঢাকা সহ ২১টি জেলায় ছড়িয়েছে মারণ ভাইরাস
- বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার নারায়ণগঞ্জ
- বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে পারে মে মাসে
ভারতের মত প্রতিবেশী বাংলাদেশেও থাবা বসিয়েছে মারণ করোনাভাইরাস। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৯১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। পরিস্থিতি সামল দিতে বাংলাদেশ সরকারও লকডাউনের পথেই এগিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা সহ ২১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস। তবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে নারায়ণগঞ্জে। সেই কারণে বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জকে করোনার এপিসেন্টার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকায় গৌষ্ঠী সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজধানী ঢাকাতেও থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। টোলারবাগসহ পুরো মিরপুরেই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এছাড়া ওয়ারি, বাসাবো এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষের কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে।
এবার তবলিগিরা দান করছেন প্লাজমা, দিল্লিতে সেরে উঠলেন ভেন্টিলেশনে যাওয়া রোগীও
যখন-তখন শীতের অনুভূতি থেকে মাথাব্যথা, জেনে নিন করোনা আক্রান্তের আরও নতুন কিছু উপসর্গ
করোনা নিয়ে আশার আলো দেখল দেশবাসী, ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের উৎপাদন
এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন হাসিনা। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। যখন করোনা সংক্রমণ থামবে, তখন খোলা হবে।
এদিকে বাংলাদেশে মে মাস নাগাদ করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন অনেক গবেষকই। যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণ মে মাসের প্রথম দিকে নয় বরং পরের দিতে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হবে। এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান সাইফুল্লাহ মুনশি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশে কোন প্রজেকশন করা হয়নি। তিনি বলেন, একটা দেশের মধ্যে ডেমোগ্রাফি, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং এপিডেমিওলজিক্যাল তথ্যের ভিত্তিতে একটা কার্ভ তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে জানা যায় যে, রোগের পিকটা কখন হবে।
মুনিশের মতে, বাংলাদেশে এটা করা হলে, এপ্রিল, মে নাকি কোন সময় পিকটা হবে তার ধারণা পাওয়া যেতো। কিন্তু আমাদের সেটা করা হয়নি। তবে ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান মত "মে মাসকে ক্রিটিক্যাল ধরতে হবে, কারণ বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারেই যদি বাড়তে থাকে তাহলে মনে হচ্ছে যে, মে মাসে গিয়ে হয়তো একটা পিকে পৌঁছে যাবে"।
বর্তমানে প্রতিদিন বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন চারশো থেকে পাঁচশো দন। এটা সংখ্যাটা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন অধ্যাপক মুনশি।