সংক্ষিপ্ত

সূর্য থেকে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) হয়। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলোকে ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে।

সূর্যে ফের শক্তিশালী বিস্ফোরণ। এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই পৃথিবীতে আঘাত করেছিল মাঝারি মাপের ভূ চৌম্বকীয় ঝড় (geomagnetic storm)। ফের এবার জিওম্যাগনেটিক ঝড় ধেয়ে আসছে পৃথিবীর (Earth) দিকে। সূর্য ইতিমধ্যেই একটি ফিলামেন্ট বিস্ফোরণ (Eruptions from Sun) ঘটিয়েছে যা নয় থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আঘাত হানবে এবং আরেকটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সূত্রপাত করবে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের আওতাধীন মহাকাশ বিজ্ঞানের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের (CESS) মতে, প্রতি ঘন্টায় ২১,৬০,০০০ কিলোমিটার বেগে যাওয়া উপাদানগুলি পৃথিবীতে প্রভাব ফেলবে। প্রভাবটি খুব বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাঝারি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। 

CESS একটি টুইটে বলেছে করোনাল ম্যাস ইজেকশনস (সিএমই) হল সূর্যের করোনা থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের বড় নির্গমন। তারা ২৫০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডের (কিমি/সেকেন্ড) থেকে ধীর গতিতে ৩০০০ কিমি/সেকেন্ডের মতো দ্রুত গতিতে সূর্য থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসা কোটি কোটি টন করোনাল উপাদান বের করতে পারে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে,  সিএমই আগামী ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে।

জিও ম্যাগনেটিক ঝড় কি? 

এটি একটি ভূ -চৌম্বকীয় ঝড় বা সৌর ঝড় একটি 'স্পেস ওয়েদার' সম্পর্কিত ঘটনা যেখানে সূর্য থেকে বেশি মাত্রায় চুম্বকীকৃত কণা বের হয়। সূর্য থেকে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) হয়। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলোকে ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। জিও ম্যাগনেটিক ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করলে কী হয়? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীকে সাধারণত এই ধরণের কণার স্রোত থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে কণাগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সংস্পর্শে আসলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। 

এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। প্রযুক্তিক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্ষতি হতে পারে স্যাটেলাইটগত প্রযুক্তির। জিও ম্যাগনেটিক ঝড়ে মতো ঘটনাগুলি চমকপ্রদ অরোরা দিয়ে আকাশকে আলোকিত করতে পারে। কিন্তু এই অরোরা ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক গ্রিড এবং স্যাটেলাইট এবং রেডিও যোগাযোগেরও যথেষ্ট ক্ষতি করে। 

আরও পড়ুন - UK News: 'গ্রেফতার করতে হবে অমিত শাহ ও জেনারেল নারাভানে'কে, বিলেতে উঠল যুদ্ধপরাধের অভিযোগ

আরও পড়ুন - Pakistani Terrorists Killed: কুলগাম এনকাউন্টারে নিকেশ জঙ্গি আদপে পাকিস্তানি, মিলল প্রচুর তথ্য

একটি G1 শ্রেণীর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় স্যাটেলাইট ক্রিয়াকলাপের উপর সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে, পাওয়ার গ্রিডগুলি সামান্য ওঠানামা করতে পারে এবং অরোরা উচ্চ অক্ষাংশের অঞ্চলে দৃশ্যমান হতে পারে।