সংক্ষিপ্ত

  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই অভাবনীয় ভিডিও
  • ইতিমধ্যে তা দেখে ফেলেছেন  লক্ষ লক্ষ নেটিজেন
  • ভিডিওতে দেখা বিশাল পার্কে আগুন লেগে গিয়েছে
  • কিন্তু সেই আগুনে পুড়ছে না কোনও গাছ বা ঘাস

যে ঘটনার কোন ব্যাখা সাধারণত পাওয়া যায় না তাকে বলা হয় অলৌকিক বা মিরাকেল। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল স্পেনের কালাহোরা শহরের এক পার্ক। 

সম্প্রতি ফেসবুক পেজ 'ক্লাব দে মন্টানা কালাহোরা’-য় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশাল বড় একটি পার্কে আগুন লেগে গিয়েছে। কিন্তু সেই আগুনে না পুড়ছে কোনও  গাছ, না কোনও ঘাস, এমনকি পার্কের বেঞ্চগুলিতেও আগুন লাগছে না। কেবল  একটি ঢেউয়ের মতো আগুনের সরু রেখা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এটি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে মিডিয়া তোলপাড় শুরু হয়েছে।

 

স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন দৃশ্য দেখা গেছে  কালাহোরা শহরের একটি পার্কে।  ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পার্কের ঘাসের উপর সাদা পাতলা আস্তরণ তৈরি হয়েছে। মনে হবে যেন তুষাপাতের ফলে এই পাতলা সাদা বরফের আস্তরণ তৈরি হয়েছে। পার্কে পপলার নামে এক প্রকার গাছ রয়েছে। সেই গাছের বীজ পড়ে এমন সাদা আস্তরণ তৈরি করেছে ঘাসের উপর। আর তাতেই আগুন লেগে যাওয়ায় তা দাবানালের মতো এগিয়ে যাচ্ছে। এই পপলার গাছের বীজ কিছুটা শিমুল তুলোর মতো।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে বন্ধ বিমান চলাচল, দেউলিয়া ঘোষণা করা হল বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীন এয়ারলাইন্সকে

আগুন এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে এগিয়ে গেলেও ঘাস বা পার্কের গাছে সেই আগুন স্পর্শ করছে না। জানা গিয়েছে, ওই আগুনের তেজ ও স্থায়ীত্ব এতটাই কম যে সবুজ ঘাস জ্বলে উঠতে যে পরিমাণ সময় বা তাপমাত্রা দরকার ছিল তা তৈরি হয়নি। ফলে শুধু পপলার গাছের বীজগুলিই আগুনে পুড়ে যাচ্ছিল, আর কোনও কিছুতেই আগুন লাগেনি। 

ছবিতে দেখুন: করোনার হদিশ পেতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে পুল টেস্টিং-এর, জেনে নিন কীভাবে হয় এখানে নমুনা পরীক্ষা

ইতিমধ্যে ফেসবুক ও ট্যুইটারে ভাইরাল হয়ে উঠেছে এই ভিডিও। ট্যুইটারে৬৮ লক্ষেরও বেশি ‘ভিউ' ভিডিওটির! সেই সঙ্গে জমা পড়েছে হাজার হাজার মন্তব্য। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই কালাহোরা শহরের  মেয়র ট্যুইট করে জানান , এই আগুন যথেষ্ট বিপজ্জনক এবং তা দ্রুত ছড়ায়। ফলে নানা বিপদ-আপদ ঘটে যায় মুহূর্তে। এক্ষেত্রে অবশ্য কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। কেউ চোটও পাননি। দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।