সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লক্ষের বেশি
- আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় এখনও এক নম্বরে আমেরিকা
- মৃতের সংখ্যায় ৪ নম্বরে উঠে এল ইউরোপের দেশ ফ্রান্স
- ফরাসি দেশে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে
প্রতিদনই বিশ্বে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের দাপট। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত ৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণের শিকার। এর মধ্যে সবাইকে ভাবাচ্ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে মারণভাইরাসের কারণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৩৭১। চলতি সপ্তাহে সোমা ও মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছিল। বুধবার থেকে সেই সংখ্যাটা আবার উর্দ্ধমুখী হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারণ ভাইরাস সংক্রমণে ১,৭৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে মৃত্যু মিছিলে এবার স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল ফ্রান্স। ইউরোপের এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৫১ জনের। যা দেশটির মোট মৃতের সংখ্যার ১.৩ শতাংশ। বর্তমানে ফরাসি দেশে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭,৪২৫ জন।
মানব সভ্যতার অঙ্গাঙ্গী অংশ হতে চলেছে করোনা, এই ভাইরাস যাওয়ার নয়, সতর্ক করে দিল 'হু'
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি, আমেরিকার পরেই করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় রাশিয়া
মাত্র ৩ মিনিটের ভিডিও কল, কাজ হারালেন ৩,৭০০ উবার কর্মী
স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ২১৭ জন। ফলে দেশটিতে বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭,৩২১। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৃত্যু মিছিলের তালিকায় ফ্রান্স রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় এখনও এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ক্রম তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেন। বরিস জনসনের দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। চিনের পর করোনা সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছিল ইতালিতে। ইউরোপের এই দেশ বর্তমানে মৃতের সংখ্যায় রয়েছে তিন নম্বরে। ৩১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইতালিতে। মৃতের তালিকায় ছয় নম্বর স্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। বর্তমানে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনা সংক্রমমের শিকার হয়েছেন ৬২২ জন। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৫৬। এদিকে গত ১৭ মার্চ লকডাউন শুরু হয় ফ্রান্সে। ৫৫ দিন ধরে চলা সেই লকডাউন গত সোমবার তুলে নিয়েছে ফরাসি সরকার। লকডাউনের শেষদিন অর্থাৎ গত রবিবার দেশে সংক্রমণের হার ছিল সবচেয়ে কম। কিন্তু লকডাউন উঠতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণের মাত্রা।
ফ্রান্সে করোনা সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ছড়িয়েছিল গত ৩১ মার্চ। সেদিন দেশে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৭,৫৭৮ জন। দিনে আবার প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করলে ফ্রান্সে ফের লকডাউন শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফরাসি সরকার।