সংক্ষিপ্ত

  • ৩০ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর মেলে
  • উহান থেকে আসা কেরলের এক পড়ুয়ার শরীরে মেলে মারণ ভাইরাস
  • তার আগে থেকেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
  • জনসভায় এমনটাই দাবি করলেন মোদী ক্যাবিনেটের এক ক্ষমতাশালী মন্ত্রী

গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। আর তার প্রায় একমাস পর ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর সামনে এসে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হতে থাকায় গত ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে  দেশজুড়ে জাড়ি করতে হয় লকডাউন। সেই লকডাউনের চতুর্থ পর্যায় পেরিয়ে এখন দেশে শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান। কিন্তু এই পর্যায়ে ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংগ্রমণ। যা নিয়ে প্রতিদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বারতে নাকি করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা নাকি আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খোদ তাঁর মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীই এমন দাবি করে বসলেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রে দ্বিতীয় মোদী সরকারের একবছরর পূর্তি হয়েছে। আর সেই উপলক্ষ্যেই সৌরাষ্ট্র ও মধ্য গুজরাতে একটি ভার্তুয়াল ব়্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই জন সংবাদ ব়্যালিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাভরেকর বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি এদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণেরখবর পাওয়া যায়। কিন্তু তার আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সতর্ক করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

৯৭ বছরের বৃদ্ধের কাছে এবার পরাস্ত করোনা, ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে বাড়ি ফিরল ৪ মাসের খুদেও

মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ লক্ষ, এবার বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির আনাচ্ছেন উদ্ধব

সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে দৈনিক আক্রান্ত সাড় ১১ হাজার, দেশে সংক্রমণ এবার ছাড়াল ৩ লক্ষের গণ্ডি

তাঁর কথায়, " গত বছর পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসের নাম পর্যন্ত শোনেনি। ভারতে গত ৩০ জানুয়ারি করেল প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। কিন্তু এদেশে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলার প্রায় একমাস আগে থেকেই ক্যাবিনেট বৈঠকে এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী গোটা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কিত ছিলেন তিনি।" 

বিজেপি নেতা আরও বলেন," তখন তেখেই এই ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বনের কথা প্রধানমন্ত্রীজি আমাদের বলতেন। এটাই হল সেই আদর্শ জননেতার লক্ষণ, যিনি তাঁর দেশবাসীকে ভালবাসেন।" 

এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, দেশে যখন প্রথম সংক্রমণ সরাতে শুরু করেছিল তখন একটিও করোনা হাসপাতাল ছিল না, আর কেবল পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে এর পরীক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু দেশে এখন ৮০০ বেশি হাসপাতাল রয়েছে করোনা রোগীদের জন্য। প্রায় ৩০০টি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা চলছে নিয়মিত। 

এদিকে ভারত করোনা সংক্রমণে বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আগামী ১৬ ও ১৭ জুন দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও একাধিকবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদীকে।