সংক্ষিপ্ত

  • পেশায় তিনি মোটর মেকানিক
  • কিন্তু মাথায় চেপেছে হেলিকপ্টার তৈরির ভূত
  • তাই ইউটিউব ভিডিও দেখেই বানালেন ভিডিও
  • পাগলামীতে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী-র

পেশায় তিনি মোটর মেকানিক। কিন্তু দুচোখখে স্বপ্ন সবাই যখন জ্যামের মধ্যে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তিনি সগর্বে তাদের উপর দিয়ে উড়ে যাবেন। আর সেই বাবনা থেকেই অবসরের পুরো সময়টাই মোটর গ্যারেজের পিছনে একটি হেলিকপ্টার বানাতেই লাগান তিনি। এদিকে তাঁর এই পাগলামী দেখে তীব্র দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী-র।

আরও পড়ুন - ফলে গেল ফকিরের বাণী, ৫০ বছর পর ফিরে এলেন কবর থেকে হারিয়ে যাওয়া 'মৃত স্বামী'

মেকানিকের নাম জুজুন জুনেইদি। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের এক জায়গায় থাকেন তিনি। ৪২ বছরের এই মেকানিক জানিয়েছেন প্রায়ই তাঁকে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনতে শহরে যেতে হয়। গোটা রাস্তায় এত যানজট থাকে যে প্রচুর সময় ও পোট্রল - দুইই যায়। এর থেকেই বছর দেরেক আগে তাঁর মাথায় হেলিকপ্টার বানানোর ভূত ঢোকে।

আরও পড়ুন - ভারতীয় সেনার জন্য 'আয়রনম্যান স্যুট', জুগারু প্রযুক্তির বিস্ময় 'গরীবের স্টার্ক'

ইউটিউব ঘাঁটাঘাটি করে কী করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেট্রোল চালিত হেলিকপ্টার বানানো যায় সেই রকম কিছু ভিডিও-ও বের করে ফেলেন। তারপরই সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করে দেন। কিছু যন্ত্রাংশ কিনে আনেন, বাকি তাঁর গ্যারেজের ভাঙাচোরা জিনিসপত্র দিয়েই ম্যানেজ করে নেন। তাঁর সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁর পুত্র এবং এক প্রতিবেশিও। এভাবেই ১৮ মাসে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর স্বপ্নের আট মিটার দৈর্ঘের হেলিকপ্টার।

তবে জুনেইদির মাথায় এই হেলিকপ্টারের ভূত চাপায় যারপরনাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ইয়েতি। কারণ হেলিকপ্টার বানাতে গিয়ে নয় নয় করে জুনেইদি ২,১০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছেন। তাঁর তৈরি হেলিকপ্টার এখনও পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয়নি। যদি তা উড়ে ব্যর্থ হয়, তাহলে আরও খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা ইয়েতির। তিনি বলেছেন, যেভাবে জুনেইদি হেলিকপ্টারের পিছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে চলেছে, তাতে আর কয়েকদিন বাদে রোজকার খাওয়ার কেনার পয়সাও আর থাকবে না। জুনেইদির অবশ্য তাতে কোনও হেলদোল নেই। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর তৈরি হেলিকপ্টার আকাশে না ওড়া পর্যন্ত তাঁর শান্তি নেই।    

আরও পড়ুন - ১০৫ বছর বয়সে বসলেন ক্লাস ফোরের পরীক্ষায়, ভাগীরথী আম্মাই শিক্ষার অনুপ্রেরণা