সংক্ষিপ্ত
- খিদের দ্বালায় কাঁদছে ৮ সন্তান
- মুখে তুলে দেওয়ার মত ঘরে কোনো খাবার নেই
- ক্ষুধার্ত সন্তানদের শান্ত করতে উপায় বার করলেন মা
- পাথর রান্নার অভিনয় করলেন অসহায় মা
ঘরে কোনও খাবার নেই। কিন্তু পেট তো আর সেকথা মান না। তাই খাবারের জন্য ৮ সন্তানের কান্না থামছে না। শেষ পর্য।ন্ত ক্ষুধার্ত সন্তানদের সান্ত্বনা দিতে উপায় না পেয়ে উনুনে আঘুন ধরিয়ে বাটিতে পাথর রেৎে রান্নার অভিনয় করতে হত মাকে। যাতে আচ্চারা খাবারের অপেক্ষা করতে করতে এক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এমনই মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার কেনিয়া মহাদেশের মোম্বাসা শহরে।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে রেমডেসিভির, অনুমোদন দিয়ে দিল মার্কিন প্রশাসন
দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়াল, দিল্লিতে করোনার শিকার সিআরপিএফের ১২২ জন জওয়ান
রেড জোনের সংখ্যা নিয়ে বিরোধ, সংশোধিত তালিকা দাবি করে কেন্দ্রকে চিঠি বাংলার স্বাস্থ্যসচিবের
বিশ্ব জুড়ে মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। দুনিয়ার অধিকাংশ দেশেই এখন চলছে লকডাউন। বন্ধ সবধরণের ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা। ঝিমিয়ে পড়ছে অর্থনীতি। বন্ধ মানুষের উপার্জন। গোটা বিশ্বের মত করোনার প্রভাব পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতেও। কেনিয়ায় লকডাউন সেভাবে না হলেও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে। আরা তাতেই কর্মহীন পড়ে পড়ছেন প্রচুর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। এমনই এক অসহায় মহিলা পেনিনা বাহাতি কিতসাও।
মোম্বাসার বাসিন্দা পেনিনা বিধবা। নিরক্ষর এই মিহলার ৮ সন্তান। নিরক্ষর পেনিনা ধোপানীর কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু সামাজিক দূরত্বের বিধির কারণে বর্তমানে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই ক্ষুধার্ত সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পেরে পাথর রান্নার অভিনয় করতে হয় মহিলাকে। পেনিনার এই পরিস্থিতি নজরে আসে তাঁর প্রতিবেশী পিসকা মোমানভির। তিনিই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান।
সংবাদমাধ্যমে পেনিনার এই কাহিনী প্রকাশ হতেই অবশ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। দুষ্কৃতীদের হাতে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর ৮ সন্তানকে নিয়ে দুই কামরার একটি বাড়িতে থাকেন সহায় সম্বলহীন পেনিনা। সেই বাড়িতে নেই জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। তাঁর খবর প্রকাশ পেতেই মানুষ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে মুগ্ধ তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে পেনিনা বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম না যে কেনিয়াদের এত দয়া আছে। সারা দেশ থেকে আমি ফোন পেয়েছি, কীভাবে তারা সাহায্য করতে পারে জানতে চাইছেন।”
পেনিনার প্রতিবেশী পিসকা মোমানভির জানান, বাচ্চাদের কান্নার শব্দ শুনে সেখানে কী হয়েছে তা দেখার জন্য বের হয়েছিলেন। এরপরেই তিনি মর্মস্পর্শী দৃশ্যটি দেখতে পান। পেনিনার সাহায্যে এগিয়ে আসায় কেনিয়ার প্রশাসন ও রেড ক্রসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পেনিনার কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানোর পাশাপাশি তাঁকে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলে দিয়েছিলেন পিসকা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কেনিয়ার অল্প আয়ের মানুষদের দুর্দশার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে কিতসাওয়ের এই দৃশ্য। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশটির অনেক মানুষ। পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। যদিও এসব দেশে কত সংখ্যক করোনা টেস্ট হয় সে নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক। আর দরিদ্র দেশে খুজলে পরে আরও অনেক এমন পেনিনাদের দেখা মিলবে।