সংক্ষিপ্ত
- উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন প্রয়াত
- দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের
- ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি
শুক্রবার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার এক রাজনীতিবিদ দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রাধন কিম জং উনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন উত্তর কোরিয়ার উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পিয়ংইয়ং-এর রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কিছুই জানাবে না। যথক্ষণ না উত্তরসুরি নির্বাচন হচ্ছে ততক্ষণ কিমের বিষয়ে মুখে কুপুপ এঁটে থাকবে স্থানীয় প্রশাসনও। কিমের মৃত্যু সম্পর্কে এই দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা জি সিওং হো। যিনি গত মাসেই একটি নির্বাচনে জিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদে ফিউচার কোরিয়া পার্টির প্রতিনিত্ব করছেন। গত ২০০৪ সালেই তিনি উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
জি সিওং হো আরও জানিয়েছেন ৩৬ বছরের কিমের যা শারীরিক অবস্থা ছিল তাতে কার্ডিও ভাসকুলার অপারেশন সহ্য করার মত ক্ষমতা তাঁর না থাকারই কথা। গত সপ্তাহের শেষেই কিমের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, কিমের মৃত্যু সম্পর্কে তিনি এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয়। তবে ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিবিদের আরও দাবি কিমের বোন ইয়ো জোই কিমের মৃত্যুর পর তাঁর অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জি সিওং হো।
গত ১৯ দিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরাতে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। কেমন আছেন তিনি? কোথায় রয়েছেন? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে গোটা বিশ্ব উত্তাল হয়েলও নিশ্চুপ থেকে গেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেয় বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন আধিকারিকরা দেখেননি কিম জংকে। স্যাটেলাইট ইমেজে কিমের ট্রেন নৌকার ছবি ধরা পড়লেও কিমকে দেখা যায়নি।
এগারোই এপ্রিল কিম জং উনকে প্রথম দেখা গিয়েছিল প্রকাশ্যে। তারপরই তাঁর হার্ট অপারেশন হয়। কার্ডিও ভ্যাস্কুলার সার্জারির পরই কিমের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের এই আপারেশনের পর তিনি রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য চিন থেকেও চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠান হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বিষয়টি নিয়ে রীতিমত মুখে কুলুপ এঁটেছে চিনও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পও কিমের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোকপাত করেননি। ২০১১ সালেই কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেন। তার আগেই অবশ্য গ্রহণ করেছিলেন সেনাবাহিনীর দায়িত্ব। ধীরে ধীরে তিনি পিয়ংইয়ং-এর একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন।