দাবি করা হয়েছে একটি ইউক্রেনীয় মিগ -২৯ (Mig-29) ফাইটার পাইলট 'গোস্ট অব কিয়েভ' পাঁচটি  বা তারও বেশি রুশ বিমানকে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই প্রথম ACE।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ( Russia-Ukraine War) শুরু হয়েছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই সামনে আসছে একাধিক ছবি ও ভিডিওয। যা নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। কিন্তু কোন ছবি বা ভিডিওটি (viral Video) সত্যি তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। রাশিয়া বা ইউক্রেন - দুটি দেশই চাইছে নিজের দেশ আর সেনা বাহিনীদের সদস্যদের গৌরবগাথা গাইতে। সেই রকমই একটি ভিডিও উঠে এসেছে আলোচনায়। যা নাম 'কিয়েভ গোস্ট' (ghost of kyiv)। ফাইটার পাইটলকেও এই নামে ডাকা হচ্ছে। যা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। যেখানে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনের এক বিমান চালক পাঁচটি রুশ যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তবে ভিডিওটির সত্যাতা এখনও পর্যন্ত প্রমাণ সাপেক্ষ। রাশিয়া বা ইউক্রেন দুটি দেশ এই বিষয়ে নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলেনি। 

দাবি করা হয়েছে একটি ইউক্রেনীয় মিগ -২৯ (Mig-29) ফাইটার পাইলট 'গোস্ট অব কিয়েভ' পাঁচটি বা তারও বেশি রুশ বিমানকে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই প্রথম ACE। যুদ্ধের ব্যাকরণ অনুযায়ী যে বিমান চালক শত্রু পক্ষের কমপক্ষে পাঁচটি বিমান আকাশ থেকে মাটিতে এনে ফেলেছেন। যদিও এই খবরের সত্যতা এখনও পাওয়া যায়নি। 

Scroll to load tweet…

কিন্তু অনেকেই মনে করছেন কিয়েভ ভূত বাস্তব নয়। একটি কাল্পনিক নায়ক। যা রুশ আক্রমণের মুখে পড়ে ইউক্রেনবাসীর মনোবল চাঙ্গা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। 

কারণ কিয়েভভূতের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ নেই। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে লড়াইয়ের প্রথম কয়েক দিনে কমপক্ষে ছটি রুশ বিমান ও দুটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন দয়া করে কিয়েভ ভূতকে বাস্তব হতে গিন। এক টুইটার ব্যবহারকারী একটি ৯ সেকেন্ডের ভিডিও শেযার করেছেন। যেটিতে একটি মিগ-২৯ দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের আবাসিক এলাকায়। অনেকেই আবার জানতে চেয়েছেন ভিডিওটি সত্যা কিনা। 

Scroll to load tweet…

তবে এক নেটিজেন জানিয়েছেন এটি একটি পুরনো ছবি। তিনি আরও বলেছেন কিয়েভ ভূতের ভিডিও থেকেই তিনি ছবিটি নিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই মিগ বিমানটি পুরনো। তবে অনেকেই বলেছেন এই ভিডিওটি সত্যি হোক বা মিথ্যা - পাইটল ইউক্রেনবাসীর কাছে একটি অনুপ্রেরণা।