সংক্ষিপ্ত
টুইটারে ভারতীয় দূতাবাসের জারি করা একটি জরুরি বার্তা অনুসারে খারকিভের ভারতীয় নাগরিকদের কাছের ইউক্রেনীয় শহর যেমন পেসোচিন বা রাশিয়ার বেলগোরোডের বেজলিউডোভকায় চলে যেতে বলা হয়।
কিয়েভ ছাড়তে বলা হয়েছিল একদিন আগেই। বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হল ইউক্রেনের ভারতীয়দের। রাশিয়ার হামলায় (Russian attack) এক ভারতীয় ছাত্র নিহত হওয়ার একদিন পর ভারত বুধবার পূর্ব ইউক্রেনের শহর (eastern Ukrainian city) খারকিভের (Kharkiv) সমস্ত ভারতীয়দের (Indian) দ্রুত শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
টুইটারে ভারতীয় দূতাবাসের জারি করা একটি জরুরি বার্তা অনুসারে খারকিভের ভারতীয় নাগরিকদের কাছের ইউক্রেনীয় শহর যেমন পেসোচিন বা রাশিয়ার বেলগোরোডের বেজলিউডোভকায় চলে যেতে বলা হয়।
দূতাবাস থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে “URGENT ADVISORY TO ALL INDIAN NATIONALS IN KHARKIV. FOR THEIR SAFETY AND SECURITY THEY MUST LEAVE KHARKIV IMMEDIATELY,”
টুইট করে আরও জানানো হয়, “PROCEED TO PESOCHIN, BABAYE AND BEZLYUDOVKA AS SOON AS POSSIBLE. UNDER ALL CIRCUMSTANCES THEY MUST REACH THESE SETTLEMENTS *BY 1800 HRS (UKRAINIAN TIME) TODAY*,”
জানা গিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে রয়েছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। যুদ্ধের কারণে তাঁরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারছে না। তাই সেই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের করুণ আবেদন তাদেরও যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হোক।
পশ্চিম ইউক্রেনে সুমি শহরে রয়েছে প্রায় ৫০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী। যাদের অধিকাংশই মেডিক্যাল পড়ুয়া। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা দেশটির একদম পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে। এখান থেকে তাঁদের পক্ষে যুদ্ধের মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টার যাত্রা করে কিয়েভ যাওয়া সম্ভব নয়। রাশিয়ার আক্রমণের কারণে রেল ও সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাঁদের পক্ষে বেশি দূর সফর করা সম্ভব নয়। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। সেই কারণেই তারা ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন।
সুমি শহরে থাকা ভারতীয় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় বিছানো রয়েছে ল্যান্ডমাইন। সেই কারণে তারা বাড়ির বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন রাশিয়া সীমান্ত তাঁদের শহর থেকে কাছে। তাই তাঁরা রাশিয়া দিয়ে তাদের উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন। সুমি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জু তোজো বলেন, ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত ভ্রমণ করা তাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। রাস্তা খুবই বিপজ্জনক। তুলনায় রাশিয়ান সীমান্ত অনেকটাই নিরাপদ। সেই কারণেই তাঁরা রুশ সীমান্ত দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করার কথা বলেছেন। তাঁরা মস্কো দূতাবাসের সঙ্গেই এই মর্মে যোগাযোগ করেছেন।