সংক্ষিপ্ত

পরমাণু ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এখনও বন্ধ করেনি উত্তর কোরিয়া 
মার্কিন রিপোর্টে আরও উঠল সেই ভয়াবহ অভিযোগ
এখনও মুখ খোলেনি উত্তর কোরিয়া
গত সপ্তাহেই কিম জং উন জানিয়েছিলেন পরমাণু অস্ত্রই নিরাপত্তার আধার 

মহামারীর মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বিরতি দেয়নি উত্তর কোরিয়া। ব্যালাস্টিক মিসাইলগুলির মাথায় ছোট্ট পরমাণু অস্ত্র বসিয়েছে কিম জং উনের দেশের বিজ্ঞানীরা। রাষ্ট্র সংঘের এক গোপনীয় রিপোর্টেই ফাঁস করা হয়েছে কিম জং উনের এই ভয়ানক কাজকর্ম। 

রাষ্ট্র সংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এখনও হাতে কোনও প্রামান নেই, কিন্তু প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া অতীতে ৬টি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। সেই সময়ই ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় পরমাণুর ছোট ডিভাইস বসিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে পিংইয়ং গত ২০১৭ সাল থেকে কোনও রকম পরমাণু পরীক্ষা করেনি বলেই প্রতিবেদনে জানান হয়েছে। 

একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ইউরেনিয়াম উৎপাদনে অত্যান্ত সমৃদ্ধ। পাশাপাশি চুল্লি নির্মাণ করে এখনও পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজও চলছে সেদেশে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি কিং জং উন। 

গত সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিং জং উন বলেছিলেন যে বাহ্যিক হুমকি ও সামরিক চাপ থাকা সত্ত্বেও পারমাণবিক অস্ত্র দেশটিকে নিরাপত্তা দেয়। আগামী দিনেই সেই নিরাপত্তা যাতে অটুট থাকে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

পরমাণবিক ও ব্যালাস্টিক মিসাইল কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ২০০৬ সাল থেকেই এই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারপরেও দেশের নিরাপত্তার জন্য এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও উত্তর কোরিয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রাধান কিম জং উন। আর সেই বৈঠকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান হয়েছিল। 

রাম মন্দির দেখতে কেমন হবে তৈরি হওয়ার পর, প্রস্তাবিত মন্দিরের ছবিগুলিতে চোখ রাখুন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ভারত-মার্কিন তুলনা, মোদীর উল্টোপথে হেঁটে কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ..

সেই বছরই মে মাসে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পিংগি-রি এলাকায় যেসমস্ত সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছিল তা উড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র সুড়ঙ্গের দরজাগুলি ওড়ান হয়েছিল। ভিতরের এলাকা অবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আর ধ্বংসের তিন মাসের মধ্যেই তা আবারও তৈরি করে ফেলা হয় কিমের নির্দেশে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কয়লার অবৈধ রফতানিরও অভিযোগ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

ভারতকে হালকা ট্যাঙ্ক সরবরাহে আগ্রহ প্রকাশ রাশিয়ার, লাদাখে ড্রাগনদের মোকাবিলায় প্রস্তাব ...