সংক্ষিপ্ত
- পাক আশ্রিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
- কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত ভারতের
- এসসিও বৈঠকে কড়া বার্তা অজিত দোভালের
- পাকিস্তানের সামনেই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা
পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ফের কি কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র (Shanghai Corporation Organisation) বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত মিলল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (national Security Advisor) অজিত দোভালের (Ajit Doval) বার্তায় সেই সুর স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার তাজাকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠিত হওয়া এসসিও বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন দোভাল।
পয়লা জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম, না জানলে হতে পারে সমস্যা
এদিন অজিত দোভালের প্রস্তাব পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক এসসিও। বিশেষত উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক লস্কর ই তইবা ও জইশ ই মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে বলে দাবি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। এজন্য এসসিওকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির দাবি জানিয়েছেন অজিত দোভাল। এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির উচ্চ পদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে এই দাবি জানান অজিত দোভাল।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ। তাঁর সামনেই পাক আশ্রিত জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে কড়া বার্তা দেন দোভাল। উল্লেখ্য, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মত জবাবের রণকৌশল দোভালেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর বানানো ব্লু প্রিন্টেই হয়েছে উরি হামলা। এমনকি বালাকোট হামলাটিও তাঁরই ছক। ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন অজিত দোভাল।
অবনতি হচ্ছে সম্পর্কের, ইলিশ-ভ্যাকসিন তরজায় নরেন্দ্র মোদী- শেখ হাসিনার দূরত্ব বাড়ছে
দুশানবেতে এসসিও বৈঠকে দোভালের বার্তা সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধ করতে দ্রুত উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র পেরয়োজন ভারতের মতো দেশের। বিশেষ করে অস্ত্রপাচার রুখতে ড্রোনের মত যন্ত্রের ব্যবহার আরও বাড়ানো উচিত বলে মত তাঁর। একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছেন অজিত দোভাল, তেমনই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে বার্তা দেয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকও।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এদিন বলেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও স্বাভাবিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব যদি পাকিস্তান চায়। এজন্য সবার আগে সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধের ওপর জোর দিতে হবে ইসলামাবাদকে। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি নির্ভর করছে পাকিস্তানের গঠনমূলক পদক্ষেপের ওপর।
পাকিস্তানের পাশে থাকতে রাজি, তবে মানতে হবে বিশেষ শর্ত- কূটনীতির দারুণ চাল ভারতের
এদিন বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানের মুখের ওপর জবাব দিয়ে জানায়, পাকিস্তান চাইলে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারে ভারত। তবে তার আগে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে।