সংক্ষিপ্ত
- লাদাখে ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘাত চরমে
- এই মধ্যেই নতুন করে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ফিরে এসেছে চিনে
- বেজিংয়ে বাতিল করা হয়েছে ১২০০ ফ্লাইট, বন্ধ সব স্কুল
- এর অবস্থায় চিন নতুন করে ফের আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা
লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের জের তো আছেই। অন্যদিকে যুদ্ধের আবহে নতুন করে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ফিরছে চিনে। এই দুই পরিস্থিতির চাপে চিন এই মুহুর্তে কিছুটা হলেও দিশেহারা।
জিনফাদি হোলসেল খাবারের বাজারে নতুন করে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় বেজিংয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিনকয়েক আগেই খোলা বেইজিংয়ে সব স্কুল ফের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেইজিং বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে ১২০০ ফ্লাইট।
বুধবার বেইজিংয়ে নতুন করে ৩১ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। দ্বিতীয় ধাপে ফের কোভিড ১৯ ঠেকাতে মানুষকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব জিনফাদি হোলসেল খাবারের বাজার থেকে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্লাস্টারের সংস্পর্শে আসা ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি আবাসিক এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বেইজিং থেকে ও বেইজিং পর্যন্ত প্রায় ৭০টি রুটের ১২৫৫টি নির্ধারিত বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মাঝারি ও খুব বেশি ঝুঁকিবহুল এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের বিমান সফর ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বেইজিং-এ ঠেকে যাওয়া লোকেদের বিভিন্ন প্রদেশে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
এই মুহুর্তে বেজিং শহরের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বেইজিংয়ের ১১টি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাজারেরও বেশি খাবারের এলাকাকে সংক্রমণমুক্ত করার কাজ চলছে।
গত ৬ দিনে শহরে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭ জন। সূত্রের খবর ৩০ মে পর্যন্ত বেজিংয়ের এই সব পাইকারি খাবারের বাজারে প্রায় ২ লাখ লোক গিয়েছিল। তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
যে পাইকারি বাজার থেকে করোনা ছড়াতে শুরু করেছে সেটি চিনের সবচেয়ে বড় ফ্রোজেন মাংসের বাজার। এখান থেকে বিদেশে ফ্রোজেন মাংস এবং সি-ফুড রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়া বেইজিঙের ৭০ শতাংশ ফল ও সবজিও সরবরাহ করা হয় এই বাজার থেকে।