সংক্ষিপ্ত
দুই হাজারেরও বেশি মারিয়াপোল শহরের বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সেই শহরের মেয়রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য দিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি।
ভেঙে পড়ছে একের পর এক হাসপাতাল, স্কুল ভবন, বাড়ি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিইভের কাছের শহর জাইটোমিরের একটি স্কুল ধ্বংস হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এতদিন, রুশ হামলা মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরেই ঘটছিল। পশ্চিমের শহর লভিভ'কে (Lviv) তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। যে কারণে পশ্চিম থেকে বহু শরণার্থী এসে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই শহর থেকে পোল্যান্ড সীমান্ত (Poland-Ukraine Border) মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বলে, দেশ ছাড়তে আগ্রহীদের অনেকেই এই শহরেই আসছিলেন।
তবে, রবিবার ভোরে লভিভ শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে (Yavoriv International Center for Peacekeeping and Security) বিমান হামলা (Air Strike) চালিয়েছে রাশিয়া। ফলে প্রায় পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছে গেল মস্কোর (Moscow) আগ্রাসন। এদিকে জানা গিয়েছে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর থেকে দুই হাজারেরও বেশি মারিয়াপোল শহরের বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সেই শহরের মেয়রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য দিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি। জানা গিয়েছে প্রায় ২১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু মারিয়াপোল শহরেই।
এদিকে, শনিবার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মারিউপোল (Mariupol) শহরও অবরুদ্ধ করে ফেলে রুশ (Russia)সেনা। ইউক্রনের আশঙ্কা কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে এই দুটি শহর বড় সামরিক হামলার মুখোমুখি হতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধের ১৮তম দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্র সংঘের অনুমান এখনও পর্যন্ত আড়াই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশগুলিতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও অনেক ইউক্রেনীয় বেসমেন্ট, পাতাল রেল স্টেশন ও ভূগর্ভস্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। শনিবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খাবার, গরম জল আর গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), রুশ হামলার ঘোষণা করার অনেক আগেই, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস পোল্যান্ডে সরিয়ে নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), ব্রিটেন (Britain), অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মতো দেশগুলি। এতদিন, অপারেশন 'আকাশ গঙ্গা' পরিচালনায় বড় ভূমিকা নিয়েছিল কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস। ত্রমাগত, সেই দেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের সচেতন করার কাজ চালিয়ে গিয়েছে দূতাবাস। তবে, লভিভে এয়ার স্ট্রাইকের পর, আর দূতাবাস খোলা রাখা নিরাপদ নয় বলে মনে করা হচ্ছে।