দলে দলে হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন প্রাণভয়ে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হিন্দু শরণার্থীদের প্রথম দল ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে পোলিশ সংবাদ সংস্থা 'Visegrád 24'।
রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশ করে সেখানে তোলপাড় করে।
অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না খেলাধূলাও। আক্রমণ নেমে এসেছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ঢাকা আবাহনী (Dhaka Abahani Club) এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডিতে (Sheikh Jamal Dhanmondi Club)।
এখনই তার ভারতের বাইরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বেলারুশ, কাতার, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।
অগ্নিগর্ভ ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরেই সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ, মন্দির, বাসভবন, দোকান ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের অভিযোগ উঠছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে অভ্যুত্থানকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও আমেরিকার উসকানি বলছেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ নিজেই বলেছেন, হাসিনা সরকার পতনে আমেরিকার হাত থাকতে পারে।
গণআন্দোলন বা ছাত্র আন্দোলন যাই বলুন না কেন তার এমন চেহারা যে শেষে কিন্তু বাংলাদেশের ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে ফেললেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করছে এ কেমন প্রতিবাদের ভাষা?
বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে লেখার আগে সাবধান! যেকোনও সময় ফোন করতে পারে পুলিশ, কড়া নজর রাখছে লালবাজার
শেখ হাসিনা একটানা ক্ষমতায় ছিলেন। সে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। ওয়ান কান্ট্রি, ওয়ান লিডার, ওয়ান ন্যারেটিভ, ওয়ান পলিসির মতো নীতির কারণে মানুষ বিপর্যস্ত ছিল। বেকারত্বের কারণে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। এই ঘটনাটি তারই প্রধান কারণ।
তুমুল আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরেই রেহানাই তাঁর ছায়াসঙ্গী।