সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানই কি তালিবান গোষ্ঠীর জন্মদাতা? অন্তত তেমনই দাবি করেছেন, আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপ-বিদেশমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রসংঘ ও অস্ট্রেলিয়ায় আফগান রাষ্ট্রদূত মাহমুদ সাইকাল।
ভারতের মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তানই জন্ম দিয়েছিল তালিবান গোষ্ঠীর। শনিবার টুইট করে এমনটাই দাবি করেছেন, আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপ-বিদেশমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রসংঘ ও অস্ট্রেলিয়ায় আফগান রাষ্ট্রদূত মাহমুদ সাইকাল। তিনি জানিয়েছেন, এমনটা তিনি নিজে নয়, প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফই জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং বিদেশ মন্ত্রী এসএম কুরেশি এখন তালেবানদের মেনে নেওয়ার জন্য গোটা বিশ্বের কাছে তদবির করতে ব্যস্ত।
সাইকাল পাক-তালিবান যোগের বিষয়ে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস পলিসি কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্টের একটি গবেষণা পত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। 'দ্য সান ইন দ্য স্কাই: দ্য রিলেশনশিপ বিটুইন পাকিস্তানস আইএসআই অ্যান্ড আফগান ইনসার্জেন্টস' নামের এই গবেষণাপত্রটি লিখেছেন ম্যাট ওয়াল্ডম্যান কার। সেইসঙ্গে সাইকাল রাষ্ট্রসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেছেন। সেই প্রতিবেদনে আইএসআইএস-কে, তালিবান এবং আল-কায়েদা গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের থাকার কথা বলা হয়েছে।
"
রাষ্ট্রসংঘের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট'র পাশাপাশি আল-কায়েদার নেতৃত্বের একটা বড় অংশ আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস করে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে আল-কায়েদা এবং তালিবানদের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বিদেশী চরমপন্থী গোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক সদস্য বাস করে। এমনকী আল কায়েদা প্রধান আইমান মহম্মদ রবি আল-জাওয়াহিরিও আফগান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কোনও অঞ্চলেই আছে বলে মনে করা হয়। এর আগে জানা গিয়েছিল, অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তবে সেই খবর নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে
আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন
অন্যদিকে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট বা একিউআইএস (AQIS) গোষ্ঠীর সদস্যরা কান্দাহার, হেলমান্দ এবং নিমরুজ প্রদেশে তালিবানদের ছত্রচ্ছায়াতেই বেড়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠীতে মূলত আফগান এবং পাকিস্তানি নাগরিকের সংখ্যাই বেশি। তবে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের বেশ কিছু লোকও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে এই গোষ্ঠীর নেতা হল ওসামা মাহমুদ। এই গোষ্ঠী তালিবানদের বিদ্রোহের অপরিহার্য অংশ বলে মনে করা হয়।