সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ অর্থাৎ সেদেশের শাসক দল পিটিআইয়ের এক সদস্যের তরফ থেকে দাবি উঠল পাক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। পিটিআইয়ের ওই সদস্য বলছেন পদত্যাগ করা উচিত পাক প্রধানমন্ত্রীর। 

ইমরান খানকে (Imran Khan) সহ্য করতে পারছে না তার নিজের দলই? তথ্য সেরকমই বলছে। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (Pakistan Tareek-e-Insaf) অর্থাৎ সেদেশের শাসক দল পিটিআইয়ের (PTI) এক সদস্যের তরফ থেকে দাবি উঠল পাক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। পিটিআইয়ের ওই সদস্য বলছেন পদত্যাগ করা উচিত পাক প্রধানমন্ত্রীর। কারণ তিনি ব্যর্থ নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণে। ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের এক মিছিলে ওই সক্রিয় সদস্য দাবি করেছে ইমরান খানের এখন পদত্যাগ করা উচিত। ওই মিছিলে ছিলেন পাক মন্ত্রী আসাদ উমর, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলি নওয়াজ আওয়ান ও রাজা খুররাম শেহজাদ। 

ওই যুবককে বলতে শোনা গিয়েছে যে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী না থাকলে কোনও অসুবিধা হবে না, বরং দেশের ভালো হবে। অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছিল পাক মিডিয়া। পাকিস্তানি সংবাদপত্রগুলির। সেখানে যেভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা শুরু হয়েছে, তাতে এই কথাই স্পষ্ট হচ্ছে। 

একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের দায়িত্ব পালনে ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তাঁর আমলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে নিজের ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলছে। সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে "পাকিস্তানের গর্বাচেভ" বলে অভিহিত করেছে। 

উল্লেখ্য এই গর্বাচেভ হলেন একজন রাশিয়ান নেতা যিনি আশির দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিচ্ছেদ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। গর্বাচেভকে এমন একজন নেতা হিসাবে মানুষ দেখেছিল, যিনি প্রয়োজনীয় সবরকম সংস্কার এনে দেশকে অন্য খাতে নিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তা না করে একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের অধঃপতন দেখেছিলেন। 

এই সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে বিশ্ব পাকিস্তানকে বিশ্বাস করছে বলে মনে হচ্ছে না। পাক নেতারা যখন বিদেশে যান, তখন তাদের নগ্ন অবস্থায় তল্লাশি করা হয়, যা দেশের জন্য লজ্জার। সংবাদপত্রটি আরও দাবি করেছে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তিনি নতুন পাকিস্তান, দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তানের মতো বিষয়গুলির কথা বলেছিলেন, কিন্তু এরপর যা হয়েছে তা পাকিস্তানের জনগণের সামনে রয়েছে। 

তবে এই সব দাবিতে আপাতত আমল দিচ্ছেন না ইমরান খান। তিনি করে চলেছেন নিজের কাজ। এর আগে প্রকাশ্যে ইমরান খান বলেন চিনকে ধন্যবাদ পাকিস্তানে বিপুল অর্থের বিনিয়োগের জন্য। পাকিস্তান সবসময় চিনের কোম্পানিগুলির স্বার্থে কাজ করে যাবে। স্পেশাল ইকনমিক জোনে যেভাবে চিনা কোম্পানিগুলি উৎসাহ দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য বলে জানান ইমরান খান।