সংক্ষিপ্ত

দেশের ১০ লাখ একরের বেশি কৃষি জমি দখল করেছে তারা। এখন এই জমিতে চাষাবাদ করবে পাকিস্তানি সেনারা। তবে, এই পদক্ষেপ দেশে সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

পাকিস্তান খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেদেশের মানুষ সাধারণ ভাবে জীবন নির্বাহ করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। কয়েক মাস ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য এবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রস্তুত হয়েছে। এ জন্য দেশের ১০ লাখ একরের বেশি কৃষি জমি দখল করেছে তারা। এখন এই জমিতে চাষাবাদ করবে পাকিস্তানি সেনারা। তবে, এই পদক্ষেপ দেশে সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

উদ্দেশ্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন বছরের শুরু থেকেই খাদ্য নিরাপত্তা অভিযান শুরু হবে। এই কাজটি করা হবে সিভিল মিলিটারি ইনভেস্টমেন্ট বডির মাধ্যমে। জেনে রাখা ভালো যে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ইজারা দেওয়া রাষ্ট্রীয় জমিতে সেনা-চালিত খামারগুলির মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের প্রচার করা।

এলাকা দিল্লির থেকে প্রায় তিনগুণ বড়

পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ১ মিলিয়ন একর বা ৪০৫, ০০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করবে। এই এলাকা দিল্লির থেকে প্রায় তিনগুণ বড়। যারা এই স্কিমটিকে সমর্থন করে তারা দাবি করে যে এটি ভাল ফসলের ফলন এবং জল সংরক্ষণ করবে। ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান অবস্থার মধ্যে পাকিস্তানের এটি অত্যন্ত প্রয়োজন৷

ফসল বিক্রি করে লাভের প্রায় ২০ শতাংশ কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হবে। বাকিগুলো সামরিক ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে, ফাঁস হওয়া সরকারি নথির বরাত দিয়ে নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে। যাইহোক, প্রকল্পটি বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে সেনাবাহিনীকে গম, তুলো এবং আখের পাশাপাশি শাকসবজি এবং ফল চাষের জন্য ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।

সেনাবাহিনী এমনিতেই অনেক শক্তিশালী বলে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, এটি খাদ্য নিরাপত্তা অভিযান থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারে এবং এতে পাকিস্তানের কোটি কোটি গ্রামীণ ভূমিহীন দরিদ্রদের ক্ষতি হবে। সমালোচকরা বলেছেন যে নতুন পদক্ষেপটি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে দেশের বৃহত্তম জমির মালিক হিসাবে আলাদা জায়গা করে দিতে পারে।