সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের ১২.৫ মিলিয়নেরও বেশি মনুষ দারিদ্র্যসীমা নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এই সতর্কতা জারি করে বিশ্বব্যাঙ্ক।
তীব্র আর্থিক সংকটে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৪০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এই অবস্থায় বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক মডেল দেশের দারিদ্র হ্রাসের জন্য অযোগ্য। এখানেই শেষ নয় বিশ্বব্যাঙ্ক পাকিস্তানকে আরও সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
শুধুমাত্র গত বছরই পাকিস্তানের ১২.৫ মিলিয়নেরও বেশি মনুষ দারিদ্র্যসীমা নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এই সতর্কতা জারি করে বিশ্বব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্ক একই সঙ্গে বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ মানুষ এক ধাক্কায় দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। তারা খাবার, জল, বিদ্যুতের মত মৌলিক চাহিদাগুলি মেটাতেই হিমসিম খাচ্ছে। রীতিমত তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের দারিদ্র্যের মাত্রা মাত্র এক বছরে ৩৪ শতাংশ থেকে ৩৯.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষ এখন প্রতিদিন মাত্র ৩.৬৫ মার্কিন ডলারেরও কম আয় করে বেঁচে রয়েছে।
বিশ্বব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী ২০০০ থেকে ২০২০সালের মধ্যে পাকিস্তানের গড় প্রকৃত মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১.৭ শতাংশ। সমস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির যে গড় বৃদ্ধির ৪ শতাংশ বা অর্ধেকেরও কম। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'যদিও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ১৯৮০ এর দশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এখন এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে নিম্ন আয়ের দেশ।'
বিশ্বব্যাঙ্ক পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতা বিশেষত যারা দেশের আর্থিক বিষয়গুলি দেখে তাদের সতর্ক করেছে। সমস্যায় জর্জরিত অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে বৈদেশিক নীতির বড় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মজেল আর দারিদ্র্য হ্রাস করছে না। জীবনযাত্রার মান বাকি দেশগুলির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের পাকিস্তানের কান্ট্রি ডিরেক্টর নাজি বেনহাসিন বলেছেন, "এটি পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নীতি পরিবর্তনের মুহূর্ত হতে পারে।"অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে, বিশ্বব্যাঙ্ক পাকিস্তানের অর্থনীতিতে নামমাত্র বৃদ্ধির পিছনে কারণ হিসাবে নিম্ন মানব উন্নয়ন, অস্থিতিশীল আর্থিক পরিস্থিতি, অতি-নিয়ন্ত্রিত বেসরকারি খাত, কৃষি এবং জ্বালানি খাতকে চিহ্নিত করেছে।
বিশ্বব্যাংক সুপারিশ করেছে যে পাকিস্তানকে অবিলম্বে তার কর-থেকে-জিডিপি অনুপাত ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা উচিত এবং একই সাথে জিডিপির প্রায় ২.৭ শতাংশ ব্যয় কমানো উচিত। এই ব্যবস্থাগুলির লক্ষ্য হল অর্থনীতির স্থায়িত্ব পুনরুদ্ধার করা এবং এটিকে একটি দায়িত্বশীল আর্থিক গতিপথের দিকে নিয়ে যাওয়া।