সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদ সংস্থা ডন নিউজ জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তালিকার ওপর আপত্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যুক্তি শোনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। বৃহস্পতিবার পাক নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছেন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন হবে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচনী এলাকার সীমানা পর্যালোচনা করেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে।
পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদ সংস্থা ডন নিউজ জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তালিকার ওপর আপত্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যুক্তি শোনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ৩০ নভেম্বর এই বিষয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫৪ দিন সময় পাবে রাজনৈতিক দলগুলি। তারপরই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে।
৯ অগাস্ট পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয় মিলিঝুলি সরকার। সেই সময়ই স্পষ্ট হয়েছিল আগামী বছরের প্রথম দিকেই পাকিস্তানে নির্বাচন হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগেই শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকার ঘোষণা করেছিল যে নতুন আদমশুমারি সম্পন্ন হওয়ার পরেই নির্বাচন হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। যাইহোক আগের সরকারের পদক্ষেপের ফলে তারা আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা ছিল। সীমানা নির্ধারণের সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করার জন্য পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের পকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাপ ছিল। এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় চার মাস সময় লাগে।
ইমরান খানকে পাকিস্তানের মসনদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই পাকিস্তানে রাজনৈতিক অলচাবস্থা তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে আর্থিক সংকটের কারণে পাকিস্তানে বাড়ছে নৈরাজ্য। এই অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই দেশের অচলাবস্থা কাটাতে পারে বলেও মনে করেছে পাক নাগরিকদের একাংশ। যদিও অনেকের মতে আপাতত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অলচাবস্থা কাটার নয়। বর্তমানে তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক জেলে বন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কর্তাদের জেরার মুখোমুখি হন। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করলেও আসল বিষয়েই ইমরান খান তদন্তকারীদের পুরোপুরি বিভ্রান্ত করে দেন। পাকিস্তানের প্রশাসন সম্পর্কিত গোপন নথি নিয়ে কখনও তিনি বলেন, কোড তাঁর মনে নেই, কখনও আবার বলেন সেটি ছিল পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকের খসড়া।