সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানে খাদ্য সংকট তুঙ্গে। বিনামূল্যে রেশন সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যু ১১ জনের। যার মধ্যে রয়েছে নারী আর শিশুও।
যত দিন যাচ্ছে পাকিস্তানের খাদ্য সংকট ততই মারাত্মক আকার নিচ্ছে। শুক্রবার পাকিস্তানের করাচিতে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ অভিযান চলার সময়ই খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েছ পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। যারমধ্যে রয়েছে মহিলা ও শিশুও। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের একপ্রেস নিউজ জানিয়েছে, রেশন বিতরণে কেন্দ্রে তীব্র ভিড় ছিল। তারপর রেশন পাবে কি পাবে না - তাই নিয়ে ছিল তীব্র উৎকণ্ঠা। বিনামূল্যে রেশন সংগ্রেহের লাইনে মহিলা আর শিশুদের ভিড় ছিল বেশি। এই অবস্থায় বেশ কয়েকজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপরই উত্তেজনা তৈরি হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ই পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানের করাচির সিন্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং এস্টেট এলাকার ঘটনা। নিহতদের মধ্যে ৮ জন মহিলা ও তিন জন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। পাকিস্তানের একটি সূত্র বলছে, রেশন সংগ্রহের জন্য একটি কারখানায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। বিনামূল্যে রেশন দেবে একটি সংস্থা - এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ওই কারখানায় ভিড় জমতে শুরু করে। তাতেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। করাচি পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
খাদ্য সংকট নিয়ে এটাই যে প্রথম পদপিষ্ট হওয়া ঘটনা তা নয়। গত সপ্তাহে করাচিত পঞ্জাব প্রদেশ সরকার বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সময়ই মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। তার মাত্র কয়েক দিন পরেই ঘটল আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এদিনের ঘটনা বাদ দিলে সম্প্রতি পাকিস্তানে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন। পাকিস্তানের খাবারের সংকট এতটাই যে একাধিক জায়গায় ট্রাক লুঠ হওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পাকিস্তানের খাদ্য দফতর জানিয়েছেন দেশে ময়দার তীব্র সংকট। ময়দা বা আটার মিলগুলি আর্থিক অনটকের কারণে প্রায় বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। খাইবার , পাখতুনখোয়া, সিন্ধ, বেলুচিস্তান-সহ কয়েকটি এলাকায় রীতিমত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। একাধিক জায়গায় খাবারের সন্ধানে মানুষ পদদলিত হয়ে মারা গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ বাজারে ভিড় করে ভর্তুকির আটার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই ভর্তুকির আটা সংগ্রহ করার জন্য খরচ করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকটের মধ্যে গম ও আটার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী করাচিতে এক কেজি গমের দাম ছিল ১৬০টাকা। সেখানে ইসলামাবাদ, পেশোয়ারে ১০ কেটি আটা বিক্রি হয়েছে ১৫০০ পাক- টাকায়। শুধুমাত্র আটা বা ময়দা নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের দামও বেড়েছে হুহু করে। মাছ মাংস ,দুধ , তেল - সব কিছুরই দাম আকাশ ছোঁয়া। রোজা, ইফতারের মধ্যেই পাকিস্তানের খাবারের দেখা দেওয়ায় রীতিমত ক্ষোভ বাড়ছে সে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অমিত শাহের ফোন পেয়েই তৎপর রাজ্যপাল, পরিস্থিতি দেখতে হাওড়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত সিভি আনন্দ বোসের