সংক্ষিপ্ত

হাওড়ার হিংসার পরিস্থিতি জানতে অমিত শাহ ফোন করেন রাজ্যপালকে। তারপরই সশরীরে হাওড়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন পেয়েই তৎপর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সশরীরে হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়ারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর। তিনি হাওড়ার। সেখানে তিনি কথা বলবেন স্থানীয় বসিন্দাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন। তারপরই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন বলেও রাজভবন সূত্রের খবর।

এদিনও হাওড়ার হিংসার পরিস্থিতি জানতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি পরিস্থিতির বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করেছেন। এদিন অমিত শাহ বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। হওড়ার পরিস্থিতির বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন।

বৃহস্পতিবার রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার কাজিপাড়া অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার আবার নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এদিন তৎপর ছিল পুলিশ। এলাকায় জড়ো হওয়া লোকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। কাজিপাড়ায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে দোকানপাট ও বাজার বন্ধ ছিল। এলাকার অধিকাংশ মানুষও নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। গতকালের ঘটনায় প্রায় তিন জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকায় এখনও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বাম - ডান সব পক্ষের কাছেই এই আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন হাওড়ার ঘটনা খুবই দুর্ভ্যাগ্যজনক। তিনি আরও বলেছেন হাওড়ার ঘটনার পিছনে হিন্দু বা মুসলিম কেউ ছিল না। বিজেপি, বজরং ও এজাতীয় সংগঠনগুলি জড়িত বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও কোনও জায়গায় জমায়েত করতে দিচ্ছে না। এদিন পঞ্চাননতলার বিজেপির অফিসে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর। এরপর সেখান থেকে হাওড়া হাসপাতালে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে যাবেন। সেখান থেমে হাওড়া পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করবেন বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। যদিও এই ঘটনায় বিজেপির কর্মীদের গ্রেফতার করছে বলেই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ ও প্রশাসন এমনটাই দাবি বিজেপির পক্ষ থেকে।