Pakistan's Economy: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা পাকিস্তানের বৈদেশিক অর্থায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে মুডি'স আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

Pakistan's Economy: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। সংঘতও বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের বৈদেশিক অর্থসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে আনবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে মুডি'স জানিয়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী কয়েক বছরের জন্য তার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম । সোমবার এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী রেটিং সংস্থা উল্লেখ করেছে। ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও মুডি'স প্রতিবেদনে বলেছে।

দুই দেশের মধ্যে স্থানীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও ভারতের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না বলে মুডি'স আশা প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আর্থিক সম্পর্ক নূন্যতম। যা ভারতকে অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। ২০২৪ সালে ভারতের মোট রপ্তানির ০.৫ শতাংশেরও কম পাকিস্তানে ছিল। তবে, উচ্চ প্রতিরক্ষা ব্যয় ভারতের আর্থিক শক্তির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এর আর্থিক স্থিতবস্থাকে ধীরে ধীরে ব্যহত করতে পারে বলে বিশ্বব্যাপী রেটিং সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে। মুডি'স রিপোর্টে বলেছে , "পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য আমাদের ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মূল্যায়ন ক্রমাগত উত্তেজনা বিবেচনা করে, যা মাঝে মাঝে সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়ার দিকে পরিচালিত করেছে" । "আমরা ধরে নিই যে দুই সার্বভৌম দেশের স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাস জুড়ে পর্যায়ক্রমে সংঘর্ষ দেখা দেয়, তবে এটি সম্পূর্ণ, ব্যাপক সামরিক সংঘাতের দিকে পরিচালিত করবে না," এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সংস্থাটি।

জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তীব্রভাবে হ্রাস করেছে। হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে, বেশিরভাগই পর্যটক।

এই ঘটনার পরই ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের জল সরবরাহকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করবে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির উপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং সরকারের চলমান আর্থিক সংহতিকে ব্যাহত করবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে পাকিস্তানের অগ্রগতিকে পিছনে ফেলে দেবে বলে মুডি'স জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের অর্থনীতি তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। ভারত বাণিজ্য স্থগিত করার চরম সংকটে পড়তে পারে পাকিস্তানের ওষুধ ব্যবসা। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিতে পারে। এমনিতেই খাদ্য সংকট রয়েছে পাকিস্তানে।